Search This Blog

No Title

তুমি আমার এত কাছে তবুও তোমাকে মনের কথাগুলো বলতে পারছিনা। বলতে পারছিনা কি পরিমাণ অনুভব করি তোমাকে। যে বিশেষ দিনগুলো সবাই উদযাপন করে একটু আবেগ, আনন্দ আর কিছু আয়োজন নিয়ে আমি শুধু ভেবেই যাই তোমাকেও সেখানে মধ্যমনি করে রাখতে।
আমার কোন আর্থিক সমস্যা নেই, নেই কোন বাধা তবুও বলতে পারিনা কিছু করতেও পারিনা। সেদিন সবার সামনে বাজি ধরে ঠান্ডায় সাতার কেটেছিলাম; যখন সবাই আমাকে পাগল ভাবছিলো, তখন ভেবেছিলাম বলে দিবো সব কথা আর যে কাজটা ওই বিশেষ ‍দিনে করার কথা ছিলো সেটার সাথে।
সময় চলে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে আমিও তোমার থেকে দুরে চলে যাচ্ছি। কিন্তু এমনটা হবার কথা না, আমাদের যে সম্পর্ক তা তো কোন সময় মানে না, না এর আছে কোন মেয়াদ কখন শুরু হয়েছিলো তাও কেউ জানেনা কিছুটা জানো তাও একমাত্র তুমি।

মানিব্যাগ


ছোট একটা মানিব্যাগ, ছোট বলতে ছোটরা যে মানিব্যাগ ব্যবহার করে সেগুলো। ক্লাস এইটে পড়া অবস্থায় শিশু থাকলেও যথেস্ট বড় হবার পরেও আমার মানিব্যাগ ছিলো না(মানি থাকে না, তার উপর ব্যাগ)। এই নিয়ে কোন আপসোস আমার না থাকলেও আমার ক্লাসের কিছু স্মার্ট বন্ধুরের ছিলো। আমার কাছে মানিব্যাগ বোঝা লাগত তা ছাড়া কিছু টাকা রাখার জন্য মানিব্যাগের কি দরকার!!
দুপুর বেলা হঠাৎ একটা পরিচিত মুখ Md Motin Motin fb.com/mdmotin.motin.52090 চিনতে পারলাম, দুপুরে খাবারের পর আমাদের পুকুর পাড়ের মাঠে., তারো একই সমস্যা ’’তোর মানিব্যাগ নাই’’
না কেন?
’’আচ্ছা আমারটা রাখ’’
মানে!
’’আমি আরেকটা কিনমু এইটা তুই রাখ’’
ছোট একটা মানিব্যাগ থেকে সে একব্যাগ কাগজ আর কিছু টাকা বের করে আমাকে তার মানেব্যাগ হস্তান্তর করলো।
যেহেতু মানেব্যাগ আমার কাছে বোঝা লাগে তাই তা বাসায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতো, একদিন মানিব্যাগটাকে চিনতেই পারলাম না, কারন ময়লায় বোঝাই যায় না সেটা মানিব্যাগ। সার্প এক্সেল দিয়ে ধুয়ে রোদে শুখালাম তার পর কিছুদিন ব্যবহার করতে করতে অভ্যস্ত হযে গেলাম যদিও তারা সবাই বলে এতো ছোট মানিব্যাগ!!!
ক্লাস এইটে পাওয়া মানিব্যাগ যেদিন থেকে ব্যবহার করছি কত জনের কাছে শুনেছি ‘’ এত ছোট মানিব্যাগ!’’
:(
সেদিন বাসায় এসে সব পকেট থেকে বের করলেও মানিব্যাগটা বের করতে না পেরে ভাবলাম হয়ত ভুল করে নেইনি, কিন্তু তা আসলে অন্যের হাতে চলে গেছে। ১৪ বছর কিভাবে চলে গেল..

হাসপাতাল মর্গের সামনে কিছুক্ষণ

যখন এখানে এসেছিলাম আমার সাথে অল্প কয়েকজন ছিলো তারা বলছিলো কিছু হবে না, কিন্তু তারা এখন আমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে অনেকেই এসেছে আর একটা খুব পরিচিত দোয়া পাঠ করছে। অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে যাচ্ছে, তাদের কন্ঠস্বর চেনা যাচ্ছে কিন্ত কে বা কারা মনে করতে পারছিনা, বলতে পাছিনা তোমরা থাম আমার কেমন যেন লাগছে দয়া করে চুপ থাকেবে।। 
আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে কিন্ত এত কোলাহলের মাঝে ঘুমাই কি করে! আমাকে আবার সে রকম একটা গাড়িতে নেয়া হল, আসার সময় আমি গাড়িতে উঠেছিলাম কিন্ত এবার আমাকে বেশ কয়েকজন খুবই যত্ন সহকারে গাড়ীতে ওঠালো। সেবার আমি বসে ছিলাম এবার বসতে পারছিনা কিছু বলতেও পারছিনা।
তারা সবাই নিজেরা নিজেরা কথা বলছে আমার সাথে কেউ কথা বলছে না কেন! কিছুদিন আগেও সবাই আগে আমার সাথে কথা বলত!
খুবইঠান্ডা লাগছিলো সারা শরিরে কাপড় দিয়ে ঢাকার কারনে ঠান্ডা লাগছেনা তবে পায়ের দিকে কোন সেন্স পাচ্ছিলাম না, আসলে পুরো শরিরের কোথাও আমার নিয়ন্ত্রন নেই শুধু শুনতে পাচ্ছি যা ক্রমেই কমে আসছে আর ভাবতে পাচ্ছি ভাবনা গুলোও কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে, আর আমি হারিয়ে যাচ্ছি কোন এক অজানায়।

realme Buds Free Earphone