Search This Blog

একটি অমর সমাধি

"একটি অমর সমাধি"
                       সৈয়দ ফখরুদ্দিন মাহমুদ
"দাঁড়াও পথিক বর"। যথার্থ বাংগালী, যদি তুমি হও
   ক্ষণিক দাঁড়িয়ে যাও, এই সমাধি স্থলে।
এখানে ঘুমিয়ে আছে, বাংগালীর সর্বশ্রেষ্ট নেতা
   এদেশের মুক্তি দাতা, বাংলার নয়নের মণি।
শত দুঃখ জ্বলা স'য়ে, জীবনের বিনিময়ে যিনি
   বাংগালীর দিয়ে গেছে স্থান, বিশ্বের দুয়ারে।
বিনিময়ে দিয়েছে আত্নাহুতি, তার পূন্যময়ী সতী
   নিস্পাপ কনিষ্ট সন্তান, পিতার আদুরে "রাসেল",
স্নেহের পরশ পেতে, সর্বদা ছিল যে তার
   পিতার কাছে কাছে ঘেঁষে।
নবপরিণীতা পুত্র বধু দু'টি, হায়; কেহই তো পায়নি রেহাই
    উম্মাদের নির্মম বুলেট হতে।
হতভাগ্য বাংগালী আজ তাই, অভিশপ্ত জাতি।
   সুতরাং মুখ ঢাকো, মুখ ঢাকো তুমি।
এ আমার প্রলাপ নহে, এ আমার পাপের জ্বালা।
   এ আমার অন্তরের ব্যাথা।
তাই, হে পথিক বর! আরো একটু দাঁড়িয়ে যাও।
হেথা পূণ্য ভূমে,"বাংগালী তীর্থ ভূমি", টুংগীপাড়া গ্রামে।
জীবনে কখনও যে একদন্ড তরে লভেনি বিশ্রাম
   আজ সে, গহন মাটির গোরে, তাঁরই শান্তির নীড়ে
   যেন করিছে আরাম।
পার্শ্বে শায়িতা আছে স্নেহময়ী মাতা, আরো আছে পূণ্যবান পিতা।
   কৃতজ্ঞ জাতি। কী আর কহিব তোরে
জীবনে তো নিয়েছিস শুধু, প্রতিদানে কিছুই কি
   দেবার নেই তোর। যদি থাকে
হে পথিক! তবপরে মোর মাত্র একটি অনুরোধ--
   তোমার হাতের ঐ--"ফুল মালা" হ'তে
অন্তত একটি "পাপড়ি", আর একবিন্দু "অশ্রুজল"
   ফেলে যেও ধীরে-- অবশ্য ক'রে এই সমাধি স্থলে
আর এমনি করেই "তার কাছে সমগ্র জাতির ঋণ"
   শুধরাতে হবে পলে পলে।
আমার বিশ্বাস। এরই মধ্য দিয়ে বাংগালীর ঘুচিবে অভিশাপ,
   আসিবে সুদিন।
                                   ১৪ই জুন, ১৯৮৪

নাস্তিক

সেদিন কে যেন আমাকে নাস্তিক বলল।
আমি অবাক হলাম। ভাবলাম সে আমার বেপারে জানল কিভাবে! আমার সাথে তার কথা হয়েছিল কিনা তা ভাবছিলাম। এরই মধ্যে সে আবার আমাকে নাস্তিক বলে গালি দিল, গালি না সম্বন্ধন বুঝতে পারলাম না।
আমি নাস্তিক এর সজ্ঞা মনে করার চেষ্টা করছিলাম। আমি আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করছিলাম যাতে মনে পরে সজ্ঞাটি। নাহ মনে পড়ল না। আমি চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলাম আমার মাথায় কোন কিছুই কাজ করছে না। এখন কি করব। আমি ত নামাজ পড়ি, নামাজ পড়তেও বলি। কিন্তু সে আমাকে নাস্তিক বলল কেন।
অহ্ খুব সহজ হয়ত সে নাস্তিকের সজ্ঞা জানে না। তাই আমাকে বলে ফেলছে। যাক আমি কিছু বলব না আমি আল্লাহ্‌ এর কাছে ছেড়ে দিলাম।
আল্লাহ্‌ তুমি আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সমৃদ্ধি দান কর, আমি চাই তুমি আমাকে ক্রমবর্ধমান উন্নতি দান কর।

ইফতার পার্টি

সংবাদ পত্রের প্রধান অংশ সম্পাদকীয়। আমি আমার জানা মতে ভুলেও কোনদিন এই অংশটুকু পড়ি নাই। আমার ভালবাসার মানুষ বাড়তে থাকে যেদিন একজন চলে যায়। আর সেথেকেই বাড়তে থাকে আমার ভালবাসার মানুষ। আমি ভালবাসতাম মূলত ভাল(মেধাবী) ছাত্রীদের, তাদের একজন আমাকে জানাল সম্পাদকীয় পেজটা পড়তে। আমি শুরু করলাম পেজটি নিয়মিতভাবে পড়া। বুঝতে পাড়লাম এটাই পেপারের মুল বিষয়। পেপার আমাদের শিখায় কিন্তু আমরা যদি সম্পাদকীয় পেজটা বাদ দেই তাহলে শেখার কিছুই থাকে না।
যাই হোক সেদিন আমার একটা কথা ভাল লাগল কারণ লিখাটা ছিল ইফতার পার্টি নিয়ে। ইফতার পার্টি শুরু হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এখানে ইমান, আমল, রমজান মাসের ফজিলত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক সমালোচনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে সবাই। ইফতারের মূল বিষয় এখানে উপেক্ষিত।
হতে থাক এসব, আমি একটা ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলাম, ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে আমাকে যেতে হয়েছিল। সেখানে তৈহিদুল ইসলাম দীপ ভাইয়ের বক্তিতা বেশ ভাল লাগাল তিনি সমালোচনার পরিবর্তে আলোচনা কে প্রধান্য দিয়েছিলেন, বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ইসলাম সম্পর্কিত কার্যাবলি নিয়ে, দোয়া করেছিলেন আমাদের সাফল্যের জন্য।
জয় বাংলা।

ছোট অনূভূতি

বাসার সামনের গেটে বড়দের জুতার পাশে ছোট্র একজোড়া স্যান্ডেল দেখলে মন ভাল হয়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে আসে নিষ্পাপ একটা চেহারা। অকারণে হাসি, ছোটাছুটি, হই-হুল্লা,দুষ্টমি আমাদের হাসায়, ভাললাগায়। ভালবাসার জন্য জায়গা করে নেয়,বলতে গেলে ভালবাসতে বাধ্য করে।
বাসার সামনে সবসময় আমি ছোট্র একজোড়া সেন্ডেল দেখি ভাবি ভালবাসতে বাধ্য করবে সে আমাকে। ভিতরে আসি, ছোট বাসা আমাদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে সে নেই। এসেছিল আমার অনুপস্থিতিতে এসেছিল, ভুলে সেন্ডেল রেখে চলে গেছে, কিন্তু ঘরময় ভালবাসা রেখে গেছে সে।
আমি তার আসার কামনায় রইলাম।

যানজট

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ আর যানজট দিয়েছে আবেগ। মানে আমার যাত্রাপথে আমার কাজ নিয়ে চিন্তা করতে করতে কর্মস্থলে যাচ্ছি কিন্তু যানজট আমাকে শুধু কাজ নয় কবিতা, ছন্দ, গল্প, আরোও কত কি যে বলে শেষ করা যাবেনা ভাবতে শিখাচ্ছে। এত কিছু ভাবি ভাবতে ভাবতে ভাবনার ভিতর জ্যাম খেয়ে যায়, জ্যাম খুলে কিন্তু যানজট আর খুলেনা। কখন থেকে বসে ঘামাচ্ছি, আসলে ঘামাচ্ছিনা হাপাচ্ছি, কারন শরীরে যেটুকু পানি ছিল তা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু যানজট শেষ হল না। এভাবে আর কতক্ষন, গাড়ির গতিবেগ যেখানে ৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা সেখানে ৪০ফুট যেতে লাগছে ১ঘন্টা।

অনূভুতি

মানুষের ভালবাসাটা পাওয়া একটা ভাল লাগার ব্যপার। যে বা যারা ভালবাসা পেয়েছে বা পাচ্ছে তারা জানে ভালবাসা কতটা প্রসারিত করে জীবনটাকে বেঁচে থাকার জন্য। শত মানুষের ভিড়ে, চেনা জানা বন্ধু বান্ধবের থেকে, আত্ত্বিয়দের থেকে বা পাশের প্রতিবেশীদের থেকে যদি একজনও কেউ ভালবাসে থাকে এবং তা অনুভব করার মত সমর্থ থাকলে যত কষ্টি হোক বাঁচাটা সার্থক হয়। বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে আরেকটা দিনের জন্য।

সাধু

  অনেক চেষ্টা করলাম সাধু হবার জন্য। অনেক দোয়া দূরদও পাঠ করলাম। বিভিন্ন মনিষির জীবন কাহিনীও পড়া বাদ গেলনা। কিন্তু শেষমেষ যা তাই রয়ে গেলাম। সাধু আর হতে পারলামনা। কারন সবাই বলছে ছেলেটা ভং ধরছে। মানে আমি ব্যার্থ।
  তাই ভাবছি এবার সাধু সাজবো। সাধুরা যেভাবে মানুষের সাথে ব্যাবহার করেছে আমি সেই একইভাবে মানুষের সাথে ব্যাবহার করব। প্রয়জনে পোশাক পরিবর্তন করে ফেলব। মোটা গ্লাসের চসমা পড়ব। চলিত ভাষায় কথা বলব। দেখিয়ে দেখিয়ে কুশল আদায় করব। যদি এতেও কাজ না হয় তবে নিজের নামে পোষ্টার ছাপাব, লেখব আমার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র।
(লেখা বড় করতে পারিনা দোয়া করবেন যেন লেখাটা বাড়িয়ে লিখতে পারি।)

ব্যার্থতা

প্রায় সকলের কাজ আমি সাচ্ছন্দে সাদরে বলতে গেলে আগ্রহ নিয়ে করি। আমি চাই কেউ আমাকে বলুক ভাই একটু হেল্প করতে পারবেন। আমার বুক ভেঙ্গে যায় যদি হেল্পটা না করতে পারি।
কিন্তু আমি কাউকে কেন বলতে পারিনা ভাই হেল্প মি আই এম ইন ডেঞ্জার।

আব্দুস সাত্তার গাড়িতে বিশ্বভ্রমনকারি প্রথম বাংলাদেশী নাগরিক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সাহেবের সাথে দেখা হল।
প্রথম দেখাতে ভেবেছিলাম ফটোগ্রাফারের সহকারি। কারন, তিনি অনেক ক্লান্ত মনে হল। যিনি সারা পৃথিবী গাড়ীতে ভ্রমন করবেন তিনি ক্লান্ত! আমি আসলে ভুল করেছি, আমি তার সম্পর্কে যা ভাবছিলাম তা পুরটাই ভুল।
কানাডা প্রবাসী এই মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে এসেছেন ২০১০ সালে। তার গাড়ি আটকে দিয়েছে শুল্ক কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে উনার যে পরিমাণ সম্পত্তি ছিল তার সবই তিনি ব্যায় করেছে গাড়িটা ছাড়ানোর জন্য। কোন আর্থক সাহায্য চাননি তিনি কারো কাছে। চেয়েছেন দেশটাকে নতুন করে তুলে ধরতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা স্বারকলিপি দিয়ে জানিয়েছেন আমাদের সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে।
১৭-০৬-২০১৫ তারিখে
তিনি তখন আমাকে তার আশার কথা জানালেন দ্রুতই মুক্তি পাবে তার গাড়িটি।
আমরা দোয়া করব আমাদের দেশটার জন্য, দেশের মানুষের জন্য, এই মুক্তিযোদ্ধার জন্য যিনি দেশটাকে নতুন করে তুলে ধরতে চেয়েছেন বিশ্বের কাছে।
আমিন।

হিন্দি সিরিয়াল

আমি কার্টুন দেখি প্রচুর পরিমানের বলা চলে। এর ইফেক্ট পড়েছে আমার উপর আমি প্রায়শই কার্টুন চরিত্রে কথা/কাজ করে ফেলি। যার কারনে মানুষ আমাকে দেখে হাসে।
মানে আমি হাসাতে পারি।

হিন্দি সিরিয়ালের দর্শকরা অন্যকে কাদাতে পারে!!
তাদের তুলনায় আমি ভালই আছি।

ভাল ছেলে

আমি একজন ভাল ছেলে।
খুব সহজেই বলে ফেললাম। কিন্তু ভালছেলে হওয়াটা কি খুব সহজ না মোটামুটি সহজই বলা যায়? আসলে দুটির একটিও না। ভালছেলে হওয়াটা খুব কঠিন ব্যাপার।
১. বড়দের কথায় হ্যাঁ বলতে হবে। যদি ভুলও বলে তাও হ্যাঁ বলতে হবে। যদি হা বলি তা আমার জীবনে এফেক্ট করবে, তিনিও নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক ভাববে, যা পরবর্তী অন্যের উপর এফেক্ট করবে। আর এসব ভেবে যদি না বলি তাহলে চরম বেয়াদব হব আমি।
২. সবসময় চুপচাপ থাকতে হবে বেশী কথা বললেই বেয়াদব, তার মানে কথা না বলে শুনে শুনে তক্তা হই এই তাদের প্রয়াস। খুশি হয়ে হটাৎ চিৎকার দিলেই ছেলেটা বখে গেছে।
৩. সবসময় সালাম দিতে হবে, দিলামও বটে হটাৎ একদিন খেয়াল করলাম না, যার কারনে সালাম মিস। গেছে ছেলেটা এতদিন ভালই ছিল কিন্তু শয়তান কি আর ভাল থাকে!!!
৪. সিনেমা হলে যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ, কারন জানতে চাইলে "বেয়াদব মুখে মুকে তর্ক"!!!
৫......

মধ্যবিত্ত ভালবাসা

মধ্যবিত্ত ছেলেদের ভালবাসা নিষেধ। কারণ তারা অকারনে ভালবাসে। ভালবেসে কোন দ্রব্যসামগ্রী উপহার তারা দিতে পারে না।
খুশি রাখতে পারেনা তাদের ভালবাসার মানুষটিকে। অনেক সময় ত বাবা মার ভয়ে বলতেই ভয় পায়।
ডেটিং এর খরচের কথা তাকে ভাবতে হয়, বাবার গরিব পকেট থেকে অনেক আজুহাতে নিতে হয় টাকা। সংসারটা যে কষ্টে চলে তা সে জানে,,, তাই।
ভালবেসে সময় মত তাকে ঘরে তুলে আনব তা আর হয়ে উঠেনা। বাবার টাকায় সংসার চলেনা, আমার পড়াশুনা শেষ হয় নাই, চাকুরী কবে পাব; কবে বিয়ে করব,,,,, ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই।
আসলেই তাই আমাদের ভালবাসাটা অন্যায়। আমরা ভালবাসলে আমাদের পরিবারে চাপ পড়ে, সেটা হোক আর্থিক বা রাজনৈতিক।
আমাদের ভালবাসাটা মনে মনে কলা খাবার মত, যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
নতুন দিনে জীবনটা সাজাতে চেষ্টা করি আবার ভালবাসটে শুরু করি যা চলতেই থাকে মিলেনা কোন কোন সমীকরনের মত।

টেলিটক নেট সেটিং

টেলিটক সিম স্মার্টফোনে ইন্সটল করলে সহজেই নেট ব্যাবহার করা যায়। কিন্তু ভাল স্পিড পেতে হলে আপনাকে একটা সেটিং ইন্সটল করে নিতে হবে।
SET লিখে পাঠিয়ে দিন 738 নাম্বারে।
সেটিং আসলে ইন্সটল করে নিন।
প্রয়জনে পিন ব্যাবহার করুন 1234

গণ জাগরণ

আমার লিখাটি কোন দলের পক্ষে নয় তবে একটি দলের বিপক্ষে। আমরা প্রতিবাদ করতে ভয় পাইনা। ভয় পাইনা কোন নতুন কিছু করতে। আমাদের সমাজে যারা চুরি করছে তারা উচু গলায় কথা বলে, আমরা নিচু গলায়। তাদের পিছনে গুটি কয়েক লোক আছে আমাদের কিছুই নেই তবে আমরা আছি। আমাদের পিছনে লোকের প্রয়োজন নেই কারন আমরা বিশাল।
এইতো আমাদের ছোট পরিচয় মাত্র। ছোট ছোট বালি কনা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তুলে মহাদেশ সাগর অতল, সেই সাগরেই জাহাজ দাপিয়ে চলে, ডুবে যায় অতলে।
আমাদের মন্ত্রি এমপিরা আমাদের বুকে দাপিয়ে বেড়ায়, আমাদের জানায় তোমরা একা, বিচ্ছিন্ন কিছুই করতে পারবেনা আমাকে। আমাদের আরও বলা হয় তোমরা এক হয়ে আবেদন জানাও আন্দলন কর। আমি বলি আমরা সবসময় এক। আমরা কেন একজোট হয়ে যাব। প্রতিদিন বিকাল বেলা করে আমরা হাটতে বেরুই কোন পার্কে যাই, পার্কে না গিয়ে আমরা তাদের বাড়ির সামনে যাই গিয়ে ভিড় জমাই। চা, পান, মুড়ি খাই আর মাঝে মাঝে চিল্লাইয়া বলি "মন্ত্রি তুই দুর্নীতিবাজ"  আপনি না বল্লেন আমি বলব। আপনারা আপনাদের কাজ করবেন মানে চা, মুড়ি খাবেন। কয়েকটা টিভি চ্যানেল আসবে আমি তাদের কভার করব। তাদের মাধ্যমে জানবে আমার ভাই, যে লোকের স্বল্পতার জন্য প্রতিবাদ করতে পারেনা। এভাবেই আমাদের বাংলা হয়ে উঠবে প্রতিবাদ মূখর শিক্ষিত, দুর্নীতি মুক্ত জাতি।
জয় বাংলা।

আমি বাঙালী

আমি নিজেকে মনে প্রানে বাঙালী মনে করি। একমাত্র বাঙালী হবার কারনেই আমি আমার প্রতিবেশীদের প্রতিবেশি নয় ভাই হিসেবে মনে করি। আমার ভাইএর বিপদ মানেই আমার বিপদ। আমার ভাইএর যে কোন ভুল আমার কাছে সমাধান যোগ্য। আমি এবং আমাদের জাতীয়তা বাঙালী হবার কারনে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ বিশ্বজুড়ে। আমরা বিদেশিদের ভাই বলে সম্বন্ধন করি। আমরা আমাদের ভাইদের ভালবাসি।
বাংলাদেশের স্বাধিনতার মূলে ছিলাম আমরা বাঙালীরা। আমরা আমাদের অপরাধী ভাইদের সুযোগ দেয়েছিলাম  কিন্তু তারা সেই সুযোগে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। শুধু মাত্র বাঙালীদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছিল সংগ্রাম পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদের বলেছিলেন আমরা সকলের প্রতি দায়িত্বশীল হই যেন আমাদের যেন বদনাম না হয়। 

শাখা রাস্তা

আমাদের সরকারের বড় বড় চোখ তারা বড় রাস্তা দেখেন। বড় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। কাজ হাতে নিলে আগে বড় রাস্তার কাজটা নেন। আমাদের সরকারের তাই একটা কাজ করেছেন তা হল স্থানিয় সরকার। স্থানিয় সরকারের নেতারা ছোট খাট হন। আমি তাদের সন্মান করি। তো ছোট নেতারা তো আর বড় রাস্তা তেমন একটা প্রয়োজন হয় না। তারা ছোট রাস্তা বা শাখা রাস্তা ব্যাবহার করেন। যেগুলোতে শুখনো মৌসুমে ধুলা বালি আর বর্ষাতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি কাদা থাকে। আপনাদের গাড়ী আছে আপনাদের অসুবিধা নাই। কিন্তু আমরা তো হেটে যাই। আপনাদের সাথে দেখা করতে গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এত্যো এত্যো অসুবিধার মাঝেও আপনারা সরকার মহাদয়ের কাছে এই শাখা রাস্তা ঠিক করার জন্য কিছু কি করেন। না করে থাকলে এখনি আবেদন করেন। আর বাজেট আসলে নিজেরা ভাগাভাগি একটু কম কইরা বেশী মানের রাস্তা বানান।
আমি বাঙালী
সবার কথা ভাবি
জয় বাংলা।

জন্মদিন

আজ আমার জন্ম দিন। এই দিনটায় আমার মত অনেক অভাগা জন্মগ্রহন কিরেছে। তাদের নাম পরিচয় জানার জন্য পাঠাগারে গিয়ে দেখি শুক্রবারের জন্য তা বন্ধ! পাঠাগার শুক্রবার বন্ধ থাকলে পাঠকরা কি পড়া বাদ দিবে? এর একটা সমাধান দরকার। আমরা চাই পাঠাগার আরো সমেদ্ধ হক। সকল বই পাঠিকদের জন্য উন্মক্ত হক।

কপাল

কোনকাজে সাফল্য আসলনা দোষ দিয়ে দিলাম কপালের। আমি বলি দোষটা কপালের হয় না। কারন কপাল কিছুই করতে পারেনা। তার নিচে যে দুটি চোখ আছে তা জানে কেনা সন্দেহ। তাছাড়া মগজ তো আর কপালে থাকেনা যে ভাববে।
আসলে সাফল্য নির্ভর করে কাজের উপর। এই যেমন আমি অনেক কাজ করলাম কোন ইনফরমেশেন নিলাম না কারো কাছ থেকে। তাহলে গাধার মত আশা করে নিরাশ হয়ে কারো উপর দোষ চাপাতে না পেরে অবশেষে কপালের দোষ।
বেচারা কপাল তাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে সে কিনা কিছুই জানছেনা। স্যাড, কপালের জন্য।
আসুন আমরা কাজের ব্যার্থতার জন্য কপালকে দোষ দিয়ে সময় নষ্ট না করে কাজের ভুল ভ্রান্তি গুলো চিহ্নিত করে আবার কাজে ঝাপিয়ে পরি।

উপস্থাপন

নিজেকে উপস্থাপনের সহজ ও ভাল উপায় হচ্ছে হাসি হাসি মুখে কথা বলা। তাতে নিজের যেমন আত্তবিশ্বাস বাড়ে তেমনি অপর ব্যক্তিটাও আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পরে।

প্রতিদিনের বিকল্প ভাবনা

নদীর খুব কাছাকাছি আসা মানেই মনটা কবি কবি ভাব নেয়। আজ আমি কবি হয়ে ছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। আমি কিছুটা ঝাকি অনুভব করছিলাম আর ভাবছিলাম আমার কবিতাটা নিয়ে। আমার এগিয়ে যাওয়টা মন্থর ছিলনা, বেশ গতিশীলই ছিল। পথ ছোট ছিল বলে বৃষ্টির দিনের শহরের Auto আমাকে নামিয়ে দিয়ে বলল ১০ টাকা দেন।
আমার কবিতাটা আর হলনা।

পরিবর্তন

পরিবর্তন


মানুষ পরিবর্তন চায়, হতে চায় আধুনিক, গতিশীল। কিন্তু টাইপিং এ দেখলাম ভিন্ন জিনিস। সবাই বিজয় নিয়া ব্যাস্ত। আরে বাবা ভাষা হল উন্মক্ত, বাংলা ভাষা টাইপ করতে যদি হাতের আঙুল ভেঙে যায় তাহলে সে বিজয় কেন ব্যাবহার করব। তার চেয়ে অভ্র দিয়া আমি তুমি সঠিক ভাবে দ্রুত টাইপ করাই তো বেশ ভাল।

realme Buds Free Earphone