Search This Blog

ইফতার পার্টি

সংবাদ পত্রের প্রধান অংশ সম্পাদকীয়। আমি আমার জানা মতে ভুলেও কোনদিন এই অংশটুকু পড়ি নাই। আমার ভালবাসার মানুষ বাড়তে থাকে যেদিন একজন চলে যায়। আর সেথেকেই বাড়তে থাকে আমার ভালবাসার মানুষ। আমি ভালবাসতাম মূলত ভাল(মেধাবী) ছাত্রীদের, তাদের একজন আমাকে জানাল সম্পাদকীয় পেজটা পড়তে। আমি শুরু করলাম পেজটি নিয়মিতভাবে পড়া। বুঝতে পাড়লাম এটাই পেপারের মুল বিষয়। পেপার আমাদের শিখায় কিন্তু আমরা যদি সম্পাদকীয় পেজটা বাদ দেই তাহলে শেখার কিছুই থাকে না।
যাই হোক সেদিন আমার একটা কথা ভাল লাগল কারণ লিখাটা ছিল ইফতার পার্টি নিয়ে। ইফতার পার্টি শুরু হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এখানে ইমান, আমল, রমজান মাসের ফজিলত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক সমালোচনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে সবাই। ইফতারের মূল বিষয় এখানে উপেক্ষিত।
হতে থাক এসব, আমি একটা ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলাম, ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে আমাকে যেতে হয়েছিল। সেখানে তৈহিদুল ইসলাম দীপ ভাইয়ের বক্তিতা বেশ ভাল লাগাল তিনি সমালোচনার পরিবর্তে আলোচনা কে প্রধান্য দিয়েছিলেন, বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ইসলাম সম্পর্কিত কার্যাবলি নিয়ে, দোয়া করেছিলেন আমাদের সাফল্যের জন্য।
জয় বাংলা।

ছোট অনূভূতি

বাসার সামনের গেটে বড়দের জুতার পাশে ছোট্র একজোড়া স্যান্ডেল দেখলে মন ভাল হয়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে আসে নিষ্পাপ একটা চেহারা। অকারণে হাসি, ছোটাছুটি, হই-হুল্লা,দুষ্টমি আমাদের হাসায়, ভাললাগায়। ভালবাসার জন্য জায়গা করে নেয়,বলতে গেলে ভালবাসতে বাধ্য করে।
বাসার সামনে সবসময় আমি ছোট্র একজোড়া সেন্ডেল দেখি ভাবি ভালবাসতে বাধ্য করবে সে আমাকে। ভিতরে আসি, ছোট বাসা আমাদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে সে নেই। এসেছিল আমার অনুপস্থিতিতে এসেছিল, ভুলে সেন্ডেল রেখে চলে গেছে, কিন্তু ঘরময় ভালবাসা রেখে গেছে সে।
আমি তার আসার কামনায় রইলাম।

যানজট

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ আর যানজট দিয়েছে আবেগ। মানে আমার যাত্রাপথে আমার কাজ নিয়ে চিন্তা করতে করতে কর্মস্থলে যাচ্ছি কিন্তু যানজট আমাকে শুধু কাজ নয় কবিতা, ছন্দ, গল্প, আরোও কত কি যে বলে শেষ করা যাবেনা ভাবতে শিখাচ্ছে। এত কিছু ভাবি ভাবতে ভাবতে ভাবনার ভিতর জ্যাম খেয়ে যায়, জ্যাম খুলে কিন্তু যানজট আর খুলেনা। কখন থেকে বসে ঘামাচ্ছি, আসলে ঘামাচ্ছিনা হাপাচ্ছি, কারন শরীরে যেটুকু পানি ছিল তা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু যানজট শেষ হল না। এভাবে আর কতক্ষন, গাড়ির গতিবেগ যেখানে ৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা সেখানে ৪০ফুট যেতে লাগছে ১ঘন্টা।

অনূভুতি

মানুষের ভালবাসাটা পাওয়া একটা ভাল লাগার ব্যপার। যে বা যারা ভালবাসা পেয়েছে বা পাচ্ছে তারা জানে ভালবাসা কতটা প্রসারিত করে জীবনটাকে বেঁচে থাকার জন্য। শত মানুষের ভিড়ে, চেনা জানা বন্ধু বান্ধবের থেকে, আত্ত্বিয়দের থেকে বা পাশের প্রতিবেশীদের থেকে যদি একজনও কেউ ভালবাসে থাকে এবং তা অনুভব করার মত সমর্থ থাকলে যত কষ্টি হোক বাঁচাটা সার্থক হয়। বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে আরেকটা দিনের জন্য।

সাধু

  অনেক চেষ্টা করলাম সাধু হবার জন্য। অনেক দোয়া দূরদও পাঠ করলাম। বিভিন্ন মনিষির জীবন কাহিনীও পড়া বাদ গেলনা। কিন্তু শেষমেষ যা তাই রয়ে গেলাম। সাধু আর হতে পারলামনা। কারন সবাই বলছে ছেলেটা ভং ধরছে। মানে আমি ব্যার্থ।
  তাই ভাবছি এবার সাধু সাজবো। সাধুরা যেভাবে মানুষের সাথে ব্যাবহার করেছে আমি সেই একইভাবে মানুষের সাথে ব্যাবহার করব। প্রয়জনে পোশাক পরিবর্তন করে ফেলব। মোটা গ্লাসের চসমা পড়ব। চলিত ভাষায় কথা বলব। দেখিয়ে দেখিয়ে কুশল আদায় করব। যদি এতেও কাজ না হয় তবে নিজের নামে পোষ্টার ছাপাব, লেখব আমার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র।
(লেখা বড় করতে পারিনা দোয়া করবেন যেন লেখাটা বাড়িয়ে লিখতে পারি।)

realme Buds Free Earphone