" বাংলাদেশ
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র "
লিখেছেনঃ নয়ন মনি (তারিখঃ রবিবার, ২০/০৪/২০১৪ - ২১:৪৭)
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র
প্রথম ভাগ (ধারা ১-১১)
সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামো
১। নামকরনঃ
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” ও ইংরেজিতে
“Bangladesh Students League” সংক্ষেপে বাংলায় “ছাত্রলীগ” নামে ও ইংরেজিতে “B.S.L.” নামে অভিহিত হবে। এর জাতীয় ভিক্তিতে সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী
সংসদ ( Central Executive Committee) সংক্ষেপে নির্বাহী
সংসদ নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম হবে কেন্দ্রীয় কমিটি
(Central Committee) (পূর্বতন জাতীয় পরিষদ) । অন্যান্য
শাখাগুলার নামকরন হবে নিম্মরুপঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখা, পঞ্চগড় ও কক্সবাজার জেলা শাখা, টুঙ্গিপাড়া
উপজেলা শাখা, ঢাকা মহানগর শাখা, নারায়ণগঞ্জ
শহর শাখা, বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ইত্যাদি।
২। মূলনীতিঃ
সংগঠনের মূলনীতি হবে শিক্ষা, শান্তি ও
প্রগতি।
৩। পতাকাঃ
সংগঠনের পতাকা দৈর্ঘ : প্রস্থ ৪ : ৩। পতাকার জমিন সাদা (শান্তির প্রতীক)।জমিনের
নীচ প্রান্তে লাল তিনটি অগ্নিশিখা ( আন্দোলন ও সংগ্রামের স্মারক)। অগ্নিশিখার উপরে
ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতির পরিচয়
বহনকারী তিনটি সবুজ তারকা থাকবে।
৪। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর
স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনির সমন্বয়ে আদর্শভিক্তিক
একটি সংগঠন গড়ে তোলা ও আদর্শিক পরিচর্যা অব্যাহত রাখা। দীর্ঘ সময়ের শিক্ষার
সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে একটি সহজলভ্য,
বৈজ্ঞানিক,
গণমুখী,
বৃত্তিমূলক,
কারিগরি,
মাতৃভাষা ভিক্তিক সর্বজনীন শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের
সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া।
৫। প্রাথমিক সদস্যঃ
ক) অনূর্ধ্ব
২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কতৃক স্বীকৃত
যে কোন যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক
সদস্য হতে পারেন। প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয় ।
খ) সদস্যপদ লাভের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত
মোতাবেক স্ব স্ব জেলা শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্ধারিত সদস্যভুক্তির নিয়ম
অনুযায়ী শপথপত্রে স্বাক্ষর করে সদস্যপদ গ্রহন করতে হবে।
গ) যে কোন নিয়মিত ছাত্র ( ৫ এর ক উপ ধারা অনুযায়ী ) ছাত্রলীগের
কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারে। সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত
কোন ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবেনা। চলতি কার্যকালের মধ্যে কারো ছাত্রজীবন
ব্যত্যয় দেখা দিলে নির্বাহী সংসদ তার সদস্যপদ বাতিল বা মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখতে
পারে।
ঘ) ছাত্রলীগের স্বার্থে বা সাধারন ছাত্রসমাজের স্বার্থে কোন
সদস্য বা কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত অথবা কারারুদ্ধ হলে এই বিপর্যয়ের
প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত সদস্যের বা কর্মকর্তার সদস্যত্ব বা কর্তৃত্ব দুই বছর পর্যন্ত
বহাল থাকতে পারে। বহিস্কার বা কারারুদ্ধ হবার দিন থেকে এই হিসাব গননা করা হবে ।
তবে এই ব্যাপারে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে ।
৬। সাংগঠনিক কাঠামোঃ
ক) ছাত্রলীগ সাংগঠনিক দিক থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদ,
কেন্দ্রীয় কমিঠি,
জেলা,
থানা,
ইউনিয়ন,
ওয়ার্ড ও বিদ্যালয় শাখায় বিভক্ত ।
খ) দেশের প্রতেক্যটি মহাবিদ্যালয়ে মহাবিদ্যালয় শাখা ও মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় শাখা গঠিত হবে।
গ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন,
চট্টগ্রাম
মহানগর,
খুলনা মহানগর,
রাজশাহী মহানগর,
বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন,
চট্টগ্রাম
জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখাসমূহ সাংগঠনিক জেলা
হিসেবে গণ্য হবে।
ঘ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ,
স্যার
সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ,
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ,
নার্সিং কলেজ,
প্যারামেডিকেল ও ঢাকা মহানগরের
অন্যান্য চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় সহ ঢাকা মহানগরের চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে একটি ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখা নামে সাংগঠনিক কমিটি গঠিত
হবে এবং ইহা জেলা শাখা নামে গণ্য হবে।
ঙ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ঢাকাস্থ আইন কলেজ সমূহকে নিয়ে
ঢাকা আইন জেলা শাখা সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হবে এবং ইহা জেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে।
চ) সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি,
সাধারন
সম্পাদক এবং ঊর্ধতন কমিটির অধস্তন যেকোনো কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করতে
পারেন। উক্ত সাংগঠনিক কমিটি আহ্বায়ক কমিটি বা এডহক কমিটি রুপে গঠিত হবে। একজন
আহ্বায়ক,
এক বা একাদিক যুগ্ন আহ্বায়ক এবং বাকি সদস্য
সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। তবে কমিটির পরিধি ৫১ জনের বেশি হবেনা। এডহক কমিটির ক্ষেত্রে একজন
সভাপতি,
একজন সাধারন সম্পাদক এবং ১৯ জন সদস্য সমন্বয়ে
কমিটি গঠিত হবে। তবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বিশেষ বিবেচনায় সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি
করতে পারবেন।
৭। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক শাখাঃ
ক) ওয়ার্ড শাখাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত সাধারন প্রশাসনিক
কাঠামোর মধ্যে ওয়ার্ড হবে সংগঠনের নিম্মতম ইউনিট। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড
শাখার কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা প্রাথমিক শাখা
হিসেবে অভিহিত হবে। প্রাথমিক শাখার সদস্য সংখ্যা ২১ জন। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক
শাখায় ১ জন সভাপতি,
৩ জন সহ সভাপতি,
১ জন সাধারন সম্পাদক,
২ জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক
সম্পাদক, ১ জন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,
১ জন দপ্তর সম্পাদক,
১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক,
১
জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৫ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি
গঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির
অনুরূপ হবে।এ শাখার কার্যকাল
এক বছর।
খ) ইউনিয়ন শাখাঃ ইউনিয়ন শাখা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি নিয়ে গঠিত হবে।
ইউনিয়ন শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
১ জন সভাপতি,
৫ জন সহ সভাপতি,
১ জন সাধারন
সম্পাদক,
২
জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২
জন সাংগঠনিক সম্পাদক,
১ জন প্রচার সম্পাদক,
১ জন দপ্তর সম্পাদক,
১ জন গ্রন্থনা ও প্রকাশনা
সম্পাদক,
১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন
সমাজসেবা সম্পাদক,
১ জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন তত্ত্ব ও
গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন আইন বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক,
১ জন গনশিক্ষা বিষয়ক
সম্পাদক,
১ জন ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক,
১০ জন
সহ-সম্পাদক,
১৪ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। এ শাখার কার্যকাল এক বছর।
গ) ইউনিয়ন \
মাধ্যমিক বিদ্যালয় \
মাদ্রাসা \
ওয়ার্ড( সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলাও
মর্যাদাপ্রাপ্ত পৌর শাখার ক্ষেত্রে) শাখা ১০ জন কাউন্সিলর উপজেলার শাখার সম্মেলনে
প্রেরন করবেন।
৮। আঞ্চলিক শাখাঃ
সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা কেবলমাত্র সাংগঠনিক কার্যাদির সুবিধার
জন্য বা সমন্বয় সাধনের জন্য অঞ্চল ভিক্তিক আঞ্চলিক শাখা গঠন করতে পারে। এ ব্যাপারে
জেলা বা উপজেলা কমিটির সভায় প্রস্তাব পাশ করে তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনের
জন্য পেশ করতে হবে।আঞ্চলিক শাখার কোন প্রতিনিধি ঊর্ধ্বতন শাখার বিষয় নির্ধারণী
কমিটির সভ্য হবেন না। আঞ্চলিক
শাখার সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির অনুরূপ হবে।
৯। উপজেলা শাখাঃ
৬১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা শাখার
নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
ক) সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৭(সাত) জন, সাধারন
সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৩(তিন) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক
৩(তিন) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা
সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা
সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব
ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক
১(এক) জন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন, বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ১৮(আঠারো) জন, সদস্য ১০(দশ)
জন।
খ) উপজেলা
শাখার কার্যকাল এক বছর। উপজেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত
কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।
গ) উপজেলা সম্মেলনে স্ব স্ব সাংগঠনিক উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত
বেসরকারি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় , মাদ্রাসা
ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক , আহ্বায়ক ও
যুগ্ন-আহ্বায়ক, উপজেলা শাখার নির্বাহী সংসদের সকল
কর্মকর্তার বিষয় নিরধারনি কমিটির সদস্য(নির্বাচকমণ্ডলী) হবেন।
ঘ) প্রত্যেক উপজেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর জেলা শাখার সম্মেলনে
প্রেরন করবেন । কাউন্সিলরদের তালিকা উপজেলা শাখার
সম্মেলনেই চুড়ান্ত করে তার কপি জেলা শাখা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে প্রেরন করা
হবে।
ঙ) সরকারি কলেজ, বেসরকারি কলেজ(
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমতিসাপেক্ষে) ও জেলার মর্যাদা প্রাপ্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ উপজেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে এবং তার নির্বাহী কমিটির
সদস্যরাই বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন।
চ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে পৌর
শাখাসমূহ উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে।
১০। জেলা শাখাঃ
১২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
ক) সভাপতি ১(এক) জন,
সহ সভাপতি ১৫(পনের) জন,
সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন,
যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৭(সাত) জন, সাংগঠনিক
সম্পাদক ৭(সাত) জন,
প্রচার
সম্পাদক ১(এক) জন,
দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন,
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন,
শিক্ষা
ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক)
জন,
সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন,
ক্রীড়া
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
অর্থ সম্পাদক
১(এক) জন,
আইন সম্পাদক ১(এক) জন,
পরিবেশ সম্পাদক ১(এক) জন,
স্কুল ছাত্র বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন,
বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন,
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
ত্রান ও
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন,
সাহিত্য সম্পাদক
১(এক) জন,
গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন,
মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন,
আপ্যায়ন
সম্পাদক ১(এক) জন,
ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক ১(এক) জন,
বিভাগীয়
উপসম্পাদক ২৩(তেইশ) জন,
সহ-সম্পাদক ৭(সাত) জন,
সদস্য ৩৭(সাইত্রিশ) জন।
খ) জেলা
শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত
কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সন্সদের
অনুমোদন ক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা
কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আহ্বায়ক
বা এডহক কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি বাতিল বলে
গন্য হবে এবং কেন্দ্রীয় সংসদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গ) জেলা সম্মেলনে থানা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কর্মকর্তাবৃন্দ
বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে
গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে থানা সম্মেলনে নির্বাচিত ২৫ জন কাউন্সিলরও ভোট দিবেন। জেলা
শাখার অধস্থন সকল ইউনিটের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা
হবে।
ঘ) প্রতিটি জেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর কর্মী সম্মেলনে প্রেরন
করবেন। এই কাউন্সিলরদের তালিকা জেলা সম্মেলনেই কাউন্সিল কর্তৃক তৈরি হবে।
নির্বাচিত তালিকার এক কপি জেলা ও অপর দুই কপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রেরন করা হবে।
ঙ) সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়,
প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়,
সরকারি মহাবিদ্যালয় ,
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ,
বিশ্ববিদ্যালয়
কলেজ এবং জেলা শহর শাখা ,
উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হল শাখা ও উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে।
চ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন ,
চট্টগ্রাম
মহানগর ,
খুলনা মহানগর ,
রাজশাহী
মহানগর ,
বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন ,
চট্টগ্রাম জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) ,
কুমিল্লা
উত্তর ও দক্ষিন জেলা অন্তর্গত উপজেলা ও কলেজ শাখার সভাপতি,
সাধারন সম্পাদক এবং জেলা শাখার সকল কর্মকর্তা মহানগর ও জেলা সম্মেলনে
বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্ত্যে পৌছাতে ব্যর্থ
হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে
প্রত্যেক উপজেলা বা উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত ইউনিটের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট
দিবেন।
ছ) ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক কলেজ ইউনিট। নিম্মোক্ত কলেজ সমূহ নবগঠিত
ইউনিটের সদস্য ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেঃ ঢাকা কলেজ,
তেজগাঁও
কলেজ,
টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়,
সরকারী
তিতুমির কলেজ,
মিরপুর বাংলা কলেজ,
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ,
কবি নজরুল
সরকারী কলেজ,
ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,
সরকারী বদরুন্নেসা কলেজ,
হাবিবুল্লাহ বাহার
কলেজ ও আবু জর গিফারি কলেজ।
উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের ঐতিহ্য,
শিক্ষার্থী সংখ্যা,
সাংগঠনিক গুরুত্ব এবং
কেন্দ্রীয় সংসদের নিয়িমতি কার্যক্রমকে আর বেশি শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব
বিবেচনা করে কলেজ সমূহকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সরাসরি সাংগঠনিক আওতায় আনা
হয়েছে। উক্ত সাংগঠনিক ইউনিটটি জেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে এবং কেন্দ্রীয়
সম্মেলনে ২৫ জন কাউন্সিলর প্রেরন করবেন যা কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক পূর্বানহে
অনুমোদিত হবে।
জ) “
ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখা”
এর অন্তর্গত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ( উপজেলার শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত)
সভাপতি,
সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কমিটির সকল সদস্য বিষয়
নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে
গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি কলেজের (থানা মর্যাদার) ২৫ জন কউন্সিলর ভোট দিবেন।
ঝ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত ঢাকা মহানগর
এলাকার সকল আইন কলেজের সভাপতি,
সাধারন সম্পাদক এবং জেলা
শাখার সকল সদস্য ঢাকা আইন জেলা শাখার সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন।
বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন
সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট
প্রদান করবেন।
ঞ) জেলা সম্মেলনে ১(এক) জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হবেন।
ট) বৈদেশিক
শাখাঃ প্রবাসে যেকোনো দেশে শিক্ষারত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা (
নুন্যতম ৪১ জন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য পদ গ্রহন করলে সে দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
কমিটি গঠন করতে পারবেন। এ কমিটির মর্যাদার ব্যপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ
সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য সংখ্যা,
পরিবেশ ,
প্রবাসীদের প্রয়োজনতার দিকে
লক্ষ্য করে বিশেষ বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরবর্তী সভায় অনুমোদন
সাপেক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এই কমিটির সদস্য সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করতে
পারবেন ।
১১। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদঃ
ক) কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদ ২৫১ সদস্য সমন্বয়ে নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৪১(একচল্লিশ) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ১০(দশ) জন,
সাংগঠনিক
সম্পাদক ১০(দশ) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন,
দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও
প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,
পাঠাগার সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, অর্থ সম্পাদক ১(এক) জন, আইন সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ সম্পাদক ১(এক)
জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব
প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাহিত্য সম্পাদক ১(এক) জন, গণযোগাযোগ উন্নয়ন
সম্পাদক ১(এক) জন, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ১(এক) জন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ১(এক) জন, আপ্যায়ন
সম্পাদক ১(এক) জন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক ১(এক) জন,
মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রবৃত্তি
সম্পাদক ১(এক) জন, কৃষি শিক্ষা সম্পাদক ১(এক) জন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ১(এক) জন, সহ-সম্পাদক ২৫(পঁচিশ) জন, বাকি ১৩৩ জনের মধ্য
থেকে সাংগঠনিক প্রয়োজন অনুসারে বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
খ) কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদের কার্যকাল ২ বছর। উপরিক্ত সময়ের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করতে
হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে।
গ) বিশেষ বা জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির
বর্ধিত সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কমিটির কার্যকাল ৩ মাস বৃদ্ধি করা যাবে। উক্ত সভায় প্রতিটি
সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয়
কমিটির সদস্যবৃন্দ যোগ দিবেন।
ঘ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ
বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহন করবেন।
ঙ) অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুরূপ কর্মসূচি
গ্রহন করবেন। তবে অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্দেশিত কর্মসূচি
ও পরিকল্পনা সমূহও বাস্তবায়ন করবেন।
চ) বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ জরুরু ভিক্তিকে ৭ দিন
ও সাধারন ভাবে ১৫ দিনের নোটিশে নির্বাহী সংসদের বর্ধিত সভা ডাকতে পারবেন।
দ্বিতীয় ভাগ (১২-২৫)
কার্যক্রম
১২। কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ
কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক
মণ্ডলী গঠিত হয়। তারা নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবেন। বাংলাদেশ
ছাত্রলীগের ঘোষণা মোতাবেক আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি
বাস্তবায়ন এবং সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন, বাজেট অধিবেশন ও
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত সমূহ কার্যকর করার পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয়
সম্পাদক মণ্ডলীর।
কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ স্ব স্ব সম্পাদকীয় কর্ম
পরিকল্পনা বার্ষিক ভিক্তিতে সাধারন সম্পাদকের নিকট জমা দিবেন এবং কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদে উত্থাপিত হলে কর্ম পরিকল্পনার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করবেন এবং অনুমোদিত
কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
বিশেষ জরুরী অবস্থায় সাধারন সম্পাদক ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সংগঠনের
সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন।কিন্তু নির্বাহী কমিটির পরবর্তী
সভায় উক্ত বিষয় সমূহ অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করতে হবে।
কর্মকর্তাদের কার্যাবলী ও ক্ষমতা
সভাপতিঃ
তিনি সংগঠনের সর্ব প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে গন্য হবেন। তিনি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল অধিবেশনে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী
সংসদের সভায় ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং আবশ্যকবোধে
সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা ব্যাখ্যা করে রুলিং দিতে পারবেন ও যে কোন ধারার
ব্যাখ্যা সম্পর্কে কাউন্সিলর ও নির্বাহী সংসদের মতামত নিতে পারবেন। গঠনতান্ত্রিক সঙ্কট
দেখা দিলে সভাপতি নির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতি যদি স্বয়ং গঠনতন্ত্রের
পরিপন্থি কাজ করেন , তবে নির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্র রক্ষার ব্যপারে
সভাপতিকে বাধ্য করবেন। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যেতিরেকে কোন প্রস্তাবই বিবেচিত হবেনা।
তবে গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় দেখা না দিলে তিনি নির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব
অনুমোদন করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সভা সমিতিতে অধিকাংশ সদস্যের মতামতের উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে।
সমতা দেখা দিলে সভাপতি casting vote প্রধান করতে পারবেন।
কেবলমাত্র সভা সমিতির নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার জন্য সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা
সাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের মনোভাব একান্ত বিবেচনার পর তিনি ইচ্ছা করলে বিশেষ
ক্ষমতাবলী প্রয়োগ করতে পারবেন।
সহ-সভাপতিঃ
সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে যে কোন একজন
সহ সভাপতি সভাপতির পদমর্যাদা ও ক্ষমতা ব্যবহার করবেন এবং কার্যকরী সভাপতি বলে গন্য
হবেন।সাধারনভাবে সহ সভাপতিগণ সাধারন কার্যবিধি পরিচালনায় সহায়তা করবেন।
সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান কর্মসচিব বলে পরিগণিত হবেন। তিনি
বিভাগীয় সম্পাদকগণকে তাদের বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য উপদেশ ও নির্দেশ দিবেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিভিন্ন নির্দেশ যাতে বিভিন্ন
বিভাগের মারফত কার্যকারী হয় তার বিধি ব্যবস্থা করবেন। সাধারন সম্পাদক বিভাগীয়
সম্পাদকের স্ব স্ব বিভাগের বরাদ্দকৃত খরচে অনুমোদন স্বাক্ষর ডান করবেন। তিনি
সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সাথে আলোচনা করে বাজেট
পেশ করবেন।সভাপতির সাথে পরামর্শ করে অন্তত মাসে একবার তিনি কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর
সভা আহ্বান করবনে, বিষয়সূচি নির্ধারণ করবেন এবং আলোচ্য
বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। বিভিন্ন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত প্রচারপত্র,বিবৃতি ইত্যাদিতে সভাপতির সাথে যুক্তভাবে স্বাক্ষর ডান করবেন। প্রত্যেক
সম্পাদকীয় বিভাগের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন
করবেন এবং অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের কর্ম পরিকল্পনাঃ
সাধারন সম্পাদক সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের স্ব স্ব বার্ষিক
সম্পাদকীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করবেনএবং সংশ্লিষ্ট সম্পাদক এবং ক্ষেত্র বিশেষে
উক্ত বিষয়ে গঠিত উপকমিটির সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী সংসদের সভায় উপস্থাপন করার ব্যবস্থা
গ্রহন করবেন।
যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে
যে কোন একজন যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদকের পদ মর্যাদা ও ক্ষমতা গ্রহন করবেন
এবং তিনি কার্যকরী সাধারন সম্পাদক হিসেবে গন্য হবেন। সাধারনভাবে যুগ্ন-সাধারন
সম্পাদকগন সাধারন সম্পাদকের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে বেবস্থা গ্রহন ও
অনুরূপ কার্যাদি সম্পাদন করা সাংগঠনিক সম্পাদকগণের দায়িত্ব। স্ব স্ব আওতাভুক্ত সাংগঠনিক
এলাকার সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে সাংগঠনিক সম্পাদকগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রচার সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ উদ্দেশ্য সমূহ সংবাদপত্র, পুস্তিকা, প্রচারপত্র, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রভৃতির
মাধ্যমে প্রচার করাই প্রচার সম্পাদকের কাজ।
দপ্তর সম্পাদকঃ
দপ্তর সম্পাদক সভার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষা করবেন এবং দপ্তর সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি
পরিচালনা করবেন। সংগঠনের ই-মেইল একাউন্ট এবং ওয়েবসাইট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব
পালন করবেন।
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ সম্বলিত পোস্টার, পুস্তিকা, পত্রিকা, বুলেটিন
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা এই সম্পাদকের দায়িত্বে। সম্পাদকীয় কর্ম পরিকল্পনা বার্ষিক
ভিক্তিতে সাধারন সম্পাদকের নিকত জমা দিবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উত্থাপিত
হলে কর্মপরিকল্পনার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করবেন এবং অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা
বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকঃ
শিক্ষামূলক সমস্থ বিষয় পর্যালোচনা করা, ছাত্রলীগের
পক্ষ হতে আলোচনা করা, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, শিক্ষামূলক তথ্যাদির প্রদর্শনী,
পাঠচক্র আয়োজন, প্রবন্ধ লেখা
প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা, বিতর্ক,
কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা সফরের উদ্যোগ ইত্যাদি গ্রহন
করবেন।
সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মুল আদর্শের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে
বাঙ্গালীর জাতীয় সংস্কৃতিকে পরিস্ফুটন করে তোলা এবং সংগঠনের একটি নিজস্ব
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও বিস্তৃতি সাধন করা সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব।
সমাজসেবা সম্পাদকঃ
সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্য সম্পাদনা করাই সমাজসেবা সম্পাদকের
দায়িত্ব। দায়িত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহন
করবেন( রক্তদান, বস্ত্র ও বই বিতরন ইত্যাদি)
ক্রীড়া সম্পাদকঃ
ছাত্রলীগের সদস্যদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভিক্তিক ক্রীড়া
প্রতিযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক অন্যান্য দেশের ছাত্র সংগঠনের
সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেসভাবে প্রয়াসি হবেন। বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রামের ক্ষেত্রে সংহতি সূচক
ভূমিকা পালন করবেন। বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন সাংগঠনিক
ইউনিট গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন।
পাঠাগার সম্পাদকঃ
পাঠাগার সম্পাদক সংগঠনের কর্মীদের চিন্তা চেতনার বিকাশ সাধনের
জন্যে বই পত্র সংগ্রহ করবেন এবং বই পড়া কার্যক্রম তদারক করবেন।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকঃ
শিক্ষা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলীর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও
সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদককে সহায়তা করবেন।প্রতিটি বিষয়ে ফাইল
সংরক্ষণ করবেন।
অর্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবপত্র ও অন্যান্য আর্থিক ব্যাপারে তিনি
দায়ী। তাকে তার কার্যকাল শেষ হলে সম্মেলনে মোট আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। সাধারন
সম্পাদক ও সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নির্বাহ করবেন। আয়-ব্যয়
সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ব্যাংকে ১ টি একাউন্ট থাকবে। এই একাউন্ট অর্থ বিষয়ক
সম্পাদক, সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক যৌথভাবে পরিচালনা করবেন।
আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ
ছাত্রলীগের যে সকল সদস্য রাজনৈতিক কারনে কারারুদ্ধ, হুলিয়া প্রাপ্ত বা মামলার সম্মুখীন হবেন তাদের আইনগত সহায়তা সমন্বয়
সাধন এবং এ সকল মামলার নতিপত্র সংরক্ষণ করা এ সম্পাদকের দায়িত্ব। যুদ্দাপরাধ ও
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ সংরক্ষণ ও বিচারের স্বপক্ষে
প্রয়োজনীয় আইনগত বিশয়াদির প্রচার ও জনমত গঠনের ব্যবস্থা গ্রহন অন্যতম সম্পাদকীয় দায়িত্ব
রুপে গন্য হবে।
পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রী ও
জনগণকে সচেতন করে তোলা ও ছত্রলিগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সহ পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম
সমন্বয় ও পরিচালনা করা এই সম্পাদকের দায়িত্ব।
স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকঃ
স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করে জাতির সঠিক
ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্র ছাত্রীদের ছাত্রলীগের প্রতি আকৃষ্ট করা ও স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন
অনুষ্ঠানমালা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এ সম্পাদকের দায়িত্ব।
বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদকঃ
বিজ্ঞান শিক্কখা ও চেতনার প্রসার, বিজ্ঞান
বিষয়ক সভা সেমিনার আয়োজন, গবেশনার উদ্যোগ গ্রহন প্রধান
সম্পাদকীয় দায়িত্ব রুপে গন্য হবে।
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, সিম্পজিয়াম
আয়োজন, বিভিন্ন প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহন সহ সগথনের
সদস্যদের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সর্বসাম্প্রতিক বিষয়াবলীর সম্পর্কে তথ্য
সংগ্রহ করেবন। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে “ কম্পিউটার লিটারেসি”
বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ
ধর্ম বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত
সাংগঠনিক যোগাযোগ গড়ে তুলবেন। ধর্ম বিষয়ক আলোচনা, সেমিনার
ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করবেন।
গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের
জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে গনশিক্ষা ও গনসাক্ষরতা বিষয়ক কর্মসূচি গ্রহন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব
পালন করবেন।
ত্রান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য দুর্যোগ ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ে
ছাত্রলীগের সদস্যদের যথাযথ সচেতনতা, প্রশিক্ষন ও দক্ষতা
অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষন শিবির, কর্মশালা প্রভৃতির
আয়োজন করবেন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন, উপকূলীয় এলাকাসমূহে বিশেষ করে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সেল গথনে
ভূমিকা রাখবেন।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদকঃ
“সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই লক্ষ্যকে
বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্র সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুশের সাথে স্বাস্থ্য
বৃদ্ধি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন, মানুশের
চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মী আহত বা অসুস্থ হলে
তার চিকিতসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজসমূহে
সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে ছাত্র সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
সেবা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।
গণযোগাযোগ সম্পাদকঃ
গণযোগাযোগ সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম, উন্নয়ন
ও পরিকল্পনা গ্রহন গণযোগাযোগ সম্পাদকের দায়িত্ব।
সাহিত্য সম্পাদকঃ
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সাহিত্য জ্ঞান বৃদ্ধি চর্চা বিষয়ক যাবতীয়
কার্যক্রম গ্রহন করবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের কার্যক্রম
সমূহের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।
নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদকঃ
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন,
বিতর্ক বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা, আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে প্রতিজগিতায় অংশগ্রহন, নাটক ও নাট্য সংশ্লিষ্ট
বিষয়ে যাবতীয় কর্ম পরিকল্পনা
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদকের
দায়িত্ব। অনুমোদিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদকঃ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আইন ও বিধি বিধান সাপেক্ষে
সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও চল্মান কার্যক্রম সম্পর্কে
প্রচার ও জনমত গঠনের যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক
সম্পাদকের দায়িত্ব।
আপ্যায়ন সম্পাদকঃ
সংগঠনের যাবতীয় কর্মসূচি ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে আপ্যায়ন ও
প্রাসঙ্গিক বিশয়াধি সম্পাদন করা আপ্যায়ন সম্পাদকের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
দৈনন্দিন আপ্যায়ন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের পরিচালনা উক্ত সম্পাদকের আওতাভুক্ত
হবে।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদকঃ
বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গবেষণা,
তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধ
গবেষণা বিষয়ক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও গবেষকের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন প্রধান
সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।তরুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সঠিক
ইতিহাস, তথ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাস চেতনার বিস্তারে
প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদকঃ
দক্ষ ও আলোকিত আগামী দিনের নাগরিক তৈরিতে সংগঠনের ভূমিকা সংবলিত
বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে
গন্য হবে।
ছাত্রবৃত্তি সম্পাদকঃ
শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিক্তিক
বৃত্তি কার্যক্রম ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাত্রবৃত্তি সম্প্রসারনের লক্ষ্যে বিস্তারিত
কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে গন্য হবে।
কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
কৃষি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও
সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কিংবা এককভাবে কর্মসূচি পালন ও
পরিকল্পনা গ্রহন সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান দায়িত্বরুপে গন্য হবে।
কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের সাধারন কর্মসূচি, সাংগঠনিক
ক্যালেন্ডার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রধান
সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।
জবাবদিহিতাঃ
সম্পাদকমণ্ডলীর
সদস্যগণ প্রতি ২ মাসে অন্তত একবার তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু সম্পাদন করেছেন
তা লিখিত ও মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট পেশ করবেন এবং তাদের
পরবর্তী কারজক্রমের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন।
উপ-সম্পাদকঃ
বিভাগীয় উপ-সম্পাদক গণ স্ব স্ব বিভাগের সম্পাদককে বিভাগীয় কার্য
পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন এবং সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন
করবেন।
সহ সম্পাদকঃ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সদস্যঃ
সদস্যগণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব
পালন করবেন।
১৩। কাউন্সিল অধিবেশনঃ
ক) বৎসরে একবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেশন বসে। তবে
২১ দিনের নোটিশে প্রয়োজনবোধে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা যায়। নির্বাহী সংসদ
কাউন্সিল অধিবেশন সফল করার জন্য একটি প্রস্তুতি কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করতে পারে।
খ) কাউন্সিলের প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য ও প্রতিটি জেলা থেকে নির্বাচিত ২৫
কাউন্সিলর কাউন্সিলের প্রতিনিধি বলে গন্য হবে।
১৪। কেন্দ্রীয় কমিটিঃ
ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মোট ২৫১ জন সদস্য, প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা কর্তৃক মনোনীত ১ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক মনোনীত ১০১ জন সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত
হবে।
খ) দুই কাউন্সিলরের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সাংগঠনিক অচলাবস্থা
অথবা কোন রাজনৈতিক বক্তব্যে জটিলতা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন
করবেন।
১৫। সভা সমিতির বিধানঃ
ক) জরুরী অবস্থায় অন্তত ৭ দিন এবং সাধারন অবস্থায় অন্তত ৩০ দিনের
নোটিশে কাউন্সিলরদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক পঞ্চমাংশ ও সাধারন অবস্থায়
এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
খ) জরুরী অবস্থায় অন্তত ৭ দিন এবং সাধারন অবস্থায় অন্তত ১৫ দিনের
নোটিশে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হবে। এই সভায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
গ) জরুরী অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা এবং সাধারন অবস্থায় ৭ দিনের নোটিশে
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা হবে। জরুরী অবস্থায় এক চতুর্থাংশ ও সাধারন অবস্থায়
এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা জরুরী অবস্থায়
২৪ ঘণ্টা এবং সাধারন অবস্থায় ৭ দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক
চতুর্থাংশ ও সাধারন অবস্থায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
ঘ) রিকুইজিশন সভাঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদসহ যে কোন ইউনিটের এক
তৃতীয়াংশ কাউন্সিল সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত রিকুইজিশন পত্র দেড় মাসের মধ্যে স্ব
স্ব সভাপতির মারফত সাধারন সম্পাদকের নিকট পেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারন
সম্পাদক যদি সভা আহ্বান না করেন তাহলে এই রিকুইজিশন পত্র সভার আমন্ত্রনলিপি হিসেবে
গন্য হবে এবং এই সভা সম্পূর্ণ বৈধ। অনুরূপভাবে নির্বাহী সংসদের সভা ও আহ্বান কোরা
যাবে। তবে রিকুইজিশন সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠান কোরা যাবেনা।
ঙ) প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা
বসবে। অন্যান্য সমস্ত নিম্মতম শাখাগুলিতে প্রতি মাসে অন্তত একবার নির্বাহী সংসদের সভা
বসবে।
১৬। উপ-কমিটিঃ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রয়োজনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড
পরিচালনার সুবিধার্থে প্রতি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা উপকমিটি গঠন করবে। সহ সভাপতিগণ
এই উপকিমিটি গুলার চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন
করবেন। অব্যাখ্যাত বিষয়ে উপকিমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাহী সংসদ সিদ্ধান্ত নিবেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে সর্বোচ্চ ১৫ জন
সদস্য বিশিষ্ট উপ কমিটি গঠিত হবে। তবে উপকমিটির সঙ্গে নির্বাহী সংসদের কোন বিরোধ
দেখে দিলে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
১৭। নিয়ম ও শৃঙ্খলাঃ
ক) ছাত্রলীগের
কোন শাখা কমিটিরই এর সদস্য বিশেষকে প্রতিষ্ঠান হতে বহিস্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদকে পরামর্শ অধিক ক্ষমতা নেই। বহিস্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী
সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
খ) তবে ছাত্রলীগের যে কোন শখা উপযুক্ত কারন দর্শীয়ে কোন অভিযুক্ত
সদস্যের সদস্যপদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
গ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে নিজস্ব
তদন্ত পরিচালনা করে প্রয়োজনে আর কঠোর শাস্তি অথবা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান
করবেন।
১৮। অন্যান্য সংস্থার সাথে সম্পর্কঃ
ক) ছাত্রলীগের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের অনুপন্থী কোন নির্দিষ্ট
কর্মসূচির উপর প্রয়োজনবোধে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে ছাত্রলীগ কাজ করতে
পারবে।
খ)
ছাত্রলীগের কোন সদস্য এককভাবে অন্য কোন ছাত্র বা রাজনৈতিক সংগঠনের সভ্য হতে
পারবেনা । ছাত্রলীগ সংগঠনের সামান্যতম ক্ষতির আশংকা থাকলে ছাত্রলীগের কোন সভ্য
বিশেষ করে কোন কর্মকর্তা অন্য সংস্থার সভ্য হতে পারবেনা।
১৯। নির্বাচন কমিশনঃ
ক) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এক জন চেয়ারম্যান ও দুই জন সদস্যের
সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। কমিশনের সকলই কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদের সদস্য।
খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নির্দিষ্ট এক বৎসর কালের মধ্যে অথবা
কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বর্ধিত ৩ মাস সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করতে ব্যর্থ
হলে, নির্বাহী সংসদীর নিকট হতে সময়মত দায়িত্ব ও সম্পদ
বুঝে নেয়া নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য।
গ) দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয়
সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত ( জেলা সম্মেলন কর্তৃক) কাউন্সিলরদের সভা ডেকে নতুন কর্মকর্তা
নির্বাচন করে তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করতে বাধ্য হবে। নতুবা উক্ত সময়ের পরে
নির্বাচন কমিশন আপনা আপনি বিলুপ্ত বলে গন্য হবে।
ঘ) এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের জন্য মোট কাউন্সিলরের
এক- চতুর্থাংশের উপস্থিতিতে নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠন করার ক্ষমতা ছাত্রলীগের
নিয়মিত সদস্যগন রাখেন।
২০। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা নির্বাচনঃ
ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা, সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য, প্রতিটি জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগন বিষয়
নির্ধারণী কমিটির সদস্য। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা থেকে প্রেরিত ২৫ জন
কাউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন।
খ) বিষয় নির্ধারণ কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের
পরবর্তী ২ বছরের জন্য সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে কাউন্সিলরদের
প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্ব
পালন করবেন।
২১। জেলা শাখা ও অন্যান্য শাখা সমূহের নির্বাচনঃ
ক) প্রতি বৎসর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বে জেলা শাখা
সমূহের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিশেষ অবস্থার জন্য উক্ত সময়ের মধ্যে
নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই সমাপ্ত করেত হবে। অন্যথায় সেই জেলা কমিটি বিলুপ্ত
বলে গন্য হবে। জেলা শাখার সকল কর্মকর্তা , জেলার আওতাধীন
প্রতিটি সরকারি কলেজ ও থানা শাখার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক
জেলার বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য।
খ) প্রতি বৎসর জেলা শাখার নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই জেলার
অন্তর্ভুক্ত থানা শাখার নির্বাচন করতে হবে। থানা শাখার নির্বাচনের পূর্বে প্রাথমিক
শাখার নির্বাচন সমাপ্ত করতে হবে।
২২। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ
ক) সাধারনত দুই তৃতীয়াংশের অধিক কাউন্সিল সদস্য কর্তৃক সমর্থিত
না হলে গঠনতন্ত্রের রোদ বদল অবৈধ।
খ) এই গঠনতন্ত্র বা এর ধারা উপধারার অমান্যকারীর বিরুদ্ধে
যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গ) এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা , উপধারা ,
বাক্য বা শব্দ বিশেষের অর্থ নিয়ে কোন প্রকার মতো বিরোধ দেখা দিলে
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এর ব্যাখ্যা
নির্ণয় করবেন। চূড়ান্ত মতানৈক্য দেখা দিলে বিশেষ নোটিশে আহূত যে কোন কাউন্সিল সভা
ভোটাধিকার দ্বারা গঠনতন্ত্রের অংশবিশেষ রদবদল করতে পারবে।
২৩। বিবিধঃ
ক) কোন সদস্য
বিয়ে করলে অথবা সভাপতি,
সাধারন সম্পাদক উভয় পদে মোট দু-বার বহাল থাকলে অথবা দুই বার
সভাপতি দুই বার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবার
অধিকার হারিয়ে ফেলবেন। ১ বছরের অধিক সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী আহ্বায়ক, যুগ্ন-আহ্বায়ক ও এডহক কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগণের
মেয়াদ এক্ষেত্রে গন্য হবে।
খ) কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্য মাসিক ২০ টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্য
মাসিক ১৫ টাকা ,জেলা কমিটির প্রত্যেক সদস্য মাসিক ১০ টাকা ও নিম্মতম কমিটির সদস্য
মাসিক ৫ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট চাঁদা প্রদান করবেন। কোন সদস্য পর পর ৩ মাস চাঁদা বাকি রাখলে সেই সদস্য
সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কমিটি ব্যবস্থাগ্রহন করবে।
গ) কেন্দ্রীয়, জেলা বা নিম্মতম কোন
কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট কমিটির নিয়মিত সভার পূর্বাহ্ণে কারন দর্শানো ছাড়া
একাদিকক্রমে ৩ বার অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে।
গঠনতন্ত্রের উল্লিখিত ধারা সমূহ ব্যতিরেকে সর্বপ্রকার ঊর্ধ্বতন
বা নিম্মতম বা অভ্যন্তরীণ পরিচালনায় বিরোধ ও অন্যান্য জটিলতা মীমাংসার কর্তৃত্ব কেন্দ্রীয়
নির্বাহী সংসদের। তবে কোন জটিল ব্যপারে নির্বাহী সংসদের সুনির্দিষ্ট মতামতের অভাব
হলে বা অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে তা কেন্দ্রীয় কমিটির অধিবেশনে উত্থাপন করতে হবে।
ঘ) একমাত্র গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা ছাড়া সাংগঠনিক কার্যে অন্যান্য
শাখা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে অনুসরণ করবে।
২৪। কাউন্সিলরদের দায়িত্বঃ
ক) ছাত্রলিগের স্বার্থে , প্রার্থীদের
উপযুক্ততা ও স্ব স্ব এলাকার ছাত্রলীগ সদস্যদের মনোভাবের ভিক্তিতে তারা সংশ্লিষ্ট
নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা নিযুক্ত করবেন।
খ) কাউন্সিলরদের হাতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মৌলিক নেতৃত্ব
ন্যস্ত। তারাই ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারণ করবেন।
২৫। তহবিলঃ
ক) যথাযোগ্য রশিদ ব্যতিরেকে কেউ ছাত্রলীগের তহবিল সংগ্রহ করতে
পারবেন না।
খ) চাঁদা, এককালীন অনুদান, সদস্যদের চাঁদা, ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন
পুস্তকাদির বিক্রয়লব্ধ অর্থ ইত্যাদি ছাত্রলীগ তহবিল সংগ্রহের উপায়। নির্ধারিত
রশিদে ছাত্রলীগের প্রত্যেক শাখারই অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতা আছে। কিন্তু অর্থসংক্রান্ত যে কোনো প্রমানিত
অভিযোগের একমাত্র শাস্তি ছাত্রলীগ হতে বহিষ্কার।
গ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে কারারুদ্ধ
হলে, সাজাপ্রাপ্ত হলে, শহীদ হলে,
আহত হলে তার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য তহবিল গঠন করবেন এবং তার
জন্য বা তার পরিবারের জন্য ঐ তহবিল থেকে সাহায্য করবেন।
ধন্যবাদান্তেঃ CP (Crack Platun) গ্যাং, যাদের সার্বিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা
ছাড়া আমার পক্ষে এই গঠনতন্ত্রটি লেখা অনেকটা অসম্ভব ছিল...
[ বি.দ্র; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ (০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২)
এর অবলম্বনে লিখিত। যদি কোন বানান ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্ধর দৃষ্টিতে
দেখবেন কারন তাহা অনিচ্ছাকৃত।]
শিক্ষা শান্তি প্রগতির নামে মোরা
মুজিবের সৈনিক
কাপিয়ে তুলবো সারা চরাচর মোরা কাপাবো দিগ্বিদিক
ছাত্রলীগ জয় জয় ছাত্রলীগ
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু