Search This Blog

যে সব অভিজ্ঞতা খুব সহজেই অর্জন করে সিভিতে লেখা যায়

পড়াশুনা শেষ করেই যখন চাকুরীতে ঢুকেন তখন অভিজ্ঞতা চাইলে আপনি তো অবাক পড়াশুনা করেই তো শেষ করলাম সময় অভিজ্ঞতা কোথায় পাব। ভাই কত যে পড়াশুনা করেছেন যে কাজ করার সময় পান নাই। নিচের কাজ গুলো দেখুন আর অভিজ্ঞতার ঝুড়িতে অভিজ্ঞতা বাড়ান

পরিচিত কোন দোকানে পার্টটাইম কাজ না খুজে দোকানদারের সাথে খাতির জমিয়ে তার মালামাল বিক্রয় কৌশন শিখে তার দোকানে তার মত মালামাল বিক্রয় করা। অভিজ্ঞতা দিবেন সেলস্‌ ম্যান তার পর ৬ মাস বা একবছর লিখে দিবেন সিভিতে। দায়িত্ব সমূহঃ মালামাল বাকিতে এবং নগদ টাকায় বিক্রয়। বাকিতে বিক্রয়কৃত হিসাব লিপিবদ্ধ। নগদ ও বাকি টাকায় মালামাল ক্রয় এবং বাকিতে ক্রয়কৃত মালামালের পাওনাদারদের হিসাব লিপিবদ্ধ এবং পরিশোধ। খাজনা পরিশোধ। মালামাল শট করা। দোকান পরিষ্কার রাখা। এক্সপায়ার ডেট জেনে আগের মালমাল আগে বিক্রয় করা। 

মেসে থাকলে মেস ম্যানেজার হওয়া বা মেস ম্যানেজার এর কাজ গুলো বুঝে তার সাথে কাজ করা তাকে সাহায্য করা। পোস্ট: মেস ম্যানেজার। দায়িত্বঃ রুমের ভাড়া উঠানো। ভাড়া মালিককে বুঝিয়ে দেয়া। রুম ভাড়া না উঠাতে পারলে রুমমেট এবং মালিকে বোঝানো। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ। বাজার করানো, সম্ভব না হলে নিজে ম্যানেজ। রাধুনি ম্যানেজ। কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার উদ্ভব হলে তা ম্যানেজ করা। সকল হিসাব সংরক্ষণ।

সাইকেল গ্রুপের লিডার, সাইকেল থাকলে ঘুড়তে বের হন সাথে জোগাড় করুন সাথী আর তাদের সাথে সারা বছর ঘোরাঘুড়ি করে সিভিতে যোগ করে দিতে পারেন সাইকেল গ্রুপ লিডার পোস্ট। দায়িত্বসমূহঃ ইভেন্টের সময় নির্ধারণ, সবাইকে জানানো, সম্ভাব্য কাউকে বোঝানো তাকে দলে আনা, সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহন, ফার্স্ট  এইড দেয়া, উদ্ভব নতুন সমস্যার মোকাবেলা। 

ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের লিডার, পরিচিত এবং বন্ধুদের রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করে প্রয়োজন অন্যের জন্য রক্তের যোগান দিয়ে মানবিক সাহায্য করে যে সময় ব্যয় করবেন তা সিভিতে এ্যড করতে পারেন পোস্ট ব্লাড ডোনার গ্রুপ লিডারদায়িত্বঃ সকলের এবং নতুন সবার ব্লাগ গ্রুপ লিস্ট করে রাখা, সর্বশেষ ডোনেশন ডেট আপডেট রাখা, নতুনদের উৎসাহ দেয়া, রক্তদাতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, সামাজিক মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি।

বিভিন্ন মেলায় বিক্রয় কর্মী হওয়া। পোস্ট বিক্রয় কর্মীদায়িত্বঃ এটা যখন কাজ করবেন তখন উদ্যোক্তা কাজ বুঝিয়ে দিবে। আপনি শুধু  একরাশ আগ্রহ দেখাবেন। কাজ আপনার হবেই।

ট্রাফিক সহকারী পোস্ট। ট্রাফিক সহকারী হিসেবে কাজ করা খুব একটা সহজ কাজ নয় কিন্তু আপনি ট্রাফিক পুলিশের কাছে আপনার আগ্রহ এবং শিক্ষা জীবনে অভিজ্ঞতার জন্য কয়েকদিন তার সহকারী হিসেবে কাজ করতে চান জানিয়ে তার সাথে কাজ করুন। দায়িত্ব সমূহ তার কাছ থেকেই জানতে পারবেন।

সেচ্ছাসেবক, সেচ্ছা সেবক বলতে কোন দল/লিগের সাথে যাবেন না। অনেক সেচ্ছাসেবক সংগঠন আছে যারা শুধু সেবাই করে এমন কোন সংগঠনের খাতায় আপনার নাম লিখে অযোথা সময় নষ্ট না করে তাদের কাজে সহযোগিতা করেন আর অভিজ্ঞতার তাদের থেকে প্রাপ্ত পোস্ট এবং দায়িত্ব নিয়ে নিন।

কুরিয়ার সার্ভিসঃ প্রতিটা শহরে কুরিয়ার সার্ভিস বর্তমানে জনপ্রিয় চাকুরী। তারাই একটা সাইকেল দিবে আপনি তাতে করে আশেপাশের এলাকায় তাদের প্রডাক্ট পৌছে দিবেন। পোস্ট ডেলিভারি ম্যান, দায়িত্বঃ সঠিক সময়ে পন্য পৌছানো, সেবা মূল্য গ্রহন, কোম্পানির অফার জানানো, ইত্যাদি।


সর্বশেষে কাজ শেখার আগে পেমেন্ট নিয়ে কোন চিন্তাই করবেন না। কারণ কাজ করার সুযোগ আপনি পেয়েছেন তাতেই ইয়াহু/গুগুল বলে কাজে লেগে যান দু সপ্তাহের ভিতর আপানি কাজ সম্পকে বুঝে যাবেন আর অভিজ্ঞতা  হয়ে গেলে আপনি পেমেন্ট চাইবেন, মালিক দিতে না চাইলে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্য জায়গায় ভালো বেতনে কাজ পেয়ে যাবেন।

ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফি পেমেন্ট ফরম

ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফি পরিশোধের জন্য ফরমের দরকার হয় যা সোনালী ব্যাংকের শাখায় পাওয়া যাবার কথা থাকলেও তারা দেশের সেবায় ব্যস্থ থাকার কারনে তা দিতে পারে না। তাই দেশের দিকে তাকিয়ে আপনাদের নিজ দায়ীত্বে তা খুজে প্রিন্ট করে নিতে হয়। নিচের লিংকে দেখুন আবেদন ফরমটি ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। সেভ করে প্রিন্ট করে নিন।

এখানে লিক্ল করুন ফরমের জন্য

ফরম পূরণ দেখুন নিচের ভিডিওতে




প্রিন্ট ডাউনলোড করতে না পারলে কমেন্ট করুন। সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও রেডিমেট ফ্রি সার্ভিস নিয়ে আপনাদের তথা দেশ সেবায় আমি আছি।।

How to fix cell || Cell fixing in xl || Excel Cell fixing

সেল ফিক্স কেন করা হয়? কোন স্যালারী শীটে if ফাংশনে আমরা বেতনের রেঞ্জ বলে লিখে দেই। এমন হয় যে অনেক গুলো বেতনের রেঞ্জ বলে দিতে হয়। ভিডিওতে অল্প কিছু রেঞ্জ দিয়ে স্যালারি শিটটা দেয়া হয়েছে। যদি এমন হয় অনেকগুলো রেঞ্জ দিয়ে স্যালারি শীট করেছেন সব কমপ্লিট। তখনই প্রশাসন থেকে রেঞ্জ চেঞ্জ হয়ে গেল। তখন আপনাকে ফাংশনে ঢুকে একটি একটি করে চেঞ্জ করতে হবে। আর যদি বারবার চেঞ্জ হয় এবং আপনিও বারবার ইডিট করে চেঞ্জ করতে যান তবে ভুল হবার সম্ভাবনা সাথে তো সময় লাগবেই। তাই রেঞ্জ উল্লেখ না করে সেল নির্দিষ্ট করে দিলে আর ফাংশনে ঢুকে ইডিট করার ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে যেহেতু সেল আলাদা করে দেয়া হয় এবং পরে ফিল হ্যান্ড করা হয় তাই উক্ত সেল চেঞ্জ হবার সম্ভাবনা থাকে তাই এটিকে ফিক্সড করে দিতে হয়। এটি একবার করার পর ডিসিশন যতবার চেঞ্জ করা হোন না কেন আপনি শুধু উক্ত সেলে লিখবেন সাথে সব সেলে তার পরিবর্তন চলে আসবে। তাছাড়া অন্য কেউ আপনার লেখা সূ্ত্রে ইডিট করতে গেলে ভুল করতে পারে। তাই তাকে আলাদা করে সেল করে দিলেন সেই লিখল আর সহজেই ফলাফল পেয়ে গেল।


কয়েকটি পেপারের বিজ্ঞাপন দেবার যোগাযোগ নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস

বিভিন্ন কাজে পেপারে বিজ্ঞাপন দেবার জন্য নিচের পেপারগুলোর নাম্বারে যোগাযোগ করে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে কল দিয়ে নিশ্চিত হয়ে লেনদেন করবেন।

কালের কন্ঠ 01776-070476 ad@kalerkantho.com বিকাশ: 01766-694696


সমকাল 01911030557 samakalad@gmail.com



ইত্তেফাক 8189971, 7122664 ittefaq.adsection@yahoo.com



বাংলাদেশ প্রতিদিন 8432365



যায়যায়দিন 8870223



আমাদের সময় 8878219, 01764119114



নয়া দিগন্ত 57165261-9, 57165274 mktnd@yahoo.com digantamarketing@gmail.com



The Daily Star 09610222222, 9144330, 58156305 sher.ali@thedailystar.net tdsadvertisement@gmail.com


আলোকিত বাংলাদেশ 9110701, 9123703, 9110853 alokitobdad@gmail.com alokitobd_ad@yahoo.com

What happens if I mail my cv several email addresses at the same time? একই সাথে বিভিন্ন ইমেইলে আমার সিভি পাঠালে তার ফলাফল কি হবে?

What happens if I mail my CV several email addresses at the same time? একই সাথে বিভিন্ন ইমেইলে আমার সিভি পাঠালে তার ফলাফল কি হবে?

ফলাফল খুবই ভয়াবহ। অর্থাৎ আপনি যাদের মেইল করেছেন তারা নিশ্চই ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তা। তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেককে দেখতে পাবেন। আর তারা জানতে পারবেন আপনি সবাইকে এক সাথে সিভি পাঠিয়েছেন। আর এত জনকে একসাথে মেইল করার জন্য আপনার মেইল তারা ওপেন করবেন তার নিশ্চয়তা খুবই ক্ষীন। একই কোম্পানির বিভিন্ন কর্মকর্তাকে একই মেইল পাঠাতে একসাথে সব মেইল এড্রেস লিখতে পারেন তাতে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে একটি মেইল To তে আর বাকি গুলো সিসিতে দেয়া যে কথা এক সাথে দেয়া একই কথা। তাই চাকুরীর জন্য মেইল করার সময় কোম্পানি আলাদা হলে আলাদা করে মেইল দিন। আর যদি কাউকে সিসি করার নির্দেশ থাকে শুধু তাদের সিসিতে রাখুন। 










সনাক্তকরণ চিহ্ন কি..How to find beauty mark, what is face mark

সনাক্তকরণ চিহ্ন কি বিভিন্ন ফরমে সনাক্তকরণ চিহ্ন দিয়ে একটি ফাকা জায়গা থাকে সেখানে কি লিখবেন ভেবে না পেয়ে থাকলে ভিডিওর থাম্বল দেখেই বুঝতে পারছেন সনাক্তকরণ চিহ্ন আসলে কি। এটা যে শুধু মুখেই থাকবে তা নয়। দৃশ্যমান শরীরের যে কোন জায়গায় কোন দাগ থাকলেই তা সনাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে গন্য। তবে এমন কোন দাগের বা তিলের কথা বলবেন না, যা কোন অফিসে বা জনসম্মুখে দেখানো সম্ভব নয়। 😁 শরীরে অনেক দাগের ভিতর জন্মগত দাগ বেশি প্রধান্য পায়। যদি তা না থাকে তবে কোন দূর্ঘটনায় প্রাপ্ত দাগকে সনাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।



বাজে গ্রুপ থেকে পোস্ট আসা বন্ধ করবেন যেভাবে || How to leave from faceboo...

ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে আমরা যুক্ত হয়ে যাই আর সে সব গ্রুপ যদি ফালতু টাইপের হয় তাহলে তো কথাই আলাদা। যত্তসব ফালতু পোস্ট আসতে আসতে টাইমলাইন ভরে যায়। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে জাস্ট সে সব গ্রুপ থেকে লিভ নিন বা বের হয়ে আসুন। দেখবেন আর কোন পোস্ট আসবে না। যদি এমন হয় কোন অজানা ফ্রেন্ড আপনাকে বারবার সে গ্রুপে আপনাকে এড করে নিচ্ছে তাহলে তাকে আনফ্রেন্ড করে দিন।

How to report on Facebook.. || ধর্মীয় আঘাতযুক্তপোষ্ট রিপোর্ট করুন।

ধর্মীয় আঘাতযুক্ত পোস্ট আপনার সামনে এলে লাইক কমেন্ট বা কোন রকম রিয়্যাক্ট দিবেন না। কারণ এ সকল পোস্ট বেশির ভাগই ফেকই আইডি বা হ্যাকড আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। এতে আপনি কোন রিয়্যাক্ট দিলে তা আরো বেশি ছড়ায়। তো এমন একটি হিংসাত্মক পোস্ট ছড়াতে আপনি সাহায্য করলেন, না জেনেই শুধু মাত্র একটি লাইক বা কমেন্টের মাধ্যমে। তাই কোন পোস্টে যখন ধর্মীয় আঘাত আসে তখন তা এড়িয়ে যাবেন এবং একটু কষ্ট করে রিপোর্ট করে দিবেন যাতে ফেসবুকের কর্মকর্তারা তা দেখতে পায়। তারা এসব পোস্ট সরিয়ে ফেলবে এবং কোন অনাকাঙ্খিত অঘটন ঘটার আগেই তা সমাধান হয়ে যাবে।

How to put shoes in the mosque? || কিভাবে মসজিদে জুতা রাখবেন?

সঠিক ভাবে জুতা রাখার পদ্ধতি অজানা থাকায় মসজিদের পবিত্রতা যেমন রক্ষা হয় না তেমন ভাবে মেঝে নোংরা হয়ে যায়। তাই সঠিক ভাবে জুতা রেখে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করুন। 

যেখাবে জুতা রাখবেন: 

জুতার নিচের অংশে বেশি ময়লা থাকে তাই নিচের দুই অংশ এক করে আনুভুমিক ভাবে জুতা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করুন এবং জুতা রাখার জায়গা না পেলে আনুভুমিক ভাবেই জুতা রাখুন যাতে ময়লা যুক্ত অংশ কিছুতেই মেঝেতে না লাগে বা ময়লা খুলে যেন মেঝেতে না পরে। এভাবে আপনি মসজিদ পরিষ্কার রাখায় অংশ নিতে পারবেন। অন্যকে বুঝাতে না পারলেও আপনার জুতা রাখারা পদ্ধতি দেখে অন্যান্যরাও আপনার পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

যেকোন ফরম বানাত এক্সেল ব্যবহার করুন। || How to make a complex Form with excel

যেকোন ফরম মাইক্রোসফট এক্সেল বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে তৈরী করা সম্ভব। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে ফরম বানানোর জন্য আপনাকে টেবিল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। টেবিল নিয়ে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখলে বুঝতে পারবেন এটা কিভাবে কাজ করে





 আর সরকারি চাকুরীর আবেদনের ফরম বানানোর পুরো প্রসেস দেখলে আপনি যে কোন ফরম খুব সহজেই বানাতে পারবেন। 







মাইক্রোসফট এক্সেল দিয়ে যে ফরমটা তৈরী করা দেখানো হয়েছে তা অনুসরণ করলে আপনি এক্সেল দিয়েই যে কোন ফরম বানাতে পারবেন। ফরম বানানোর যে কোন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারলে আপনি যেকোন ধরণর ফরমে বানতে পারবেন। আর কোন সমস্যা হলে আমি তো আছি জাস্ট কমেন্ট.. সেটা ব্লোগেও করতে পারেন বা ভিডিওতে।

How to remove background color in ms(Microsoft) word Label and Crop afte...

ফটোশপের কাজ না জানার কারনে অনেক সময় ছবির পিছনের কালার/ব্যাকগ্রাউন্ড কালার চেঞ্জ না করে সিভিতে আপলোড করা করেন। ছোট একটি অপশন সম্পর্কে ধারণা থাকলেই আপনি ব্যাকগ্রাইন্ড কালার চেঞ্জ করে যে কোন ছবি ডকুমেন্টে ইনসার্ট করতে পারবেন। এছাড়া ছবির নির্দিষ্ট কোন অংশ নিতে আপনি ক্রোপ অপশন ব্যবহার করে তা আলাদা করে নিতে পারবেন। ভিডিওতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে কোন সমস্যা হলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আপনার জন্য আলাদা করে ভিডিও তৈরী করে পাঠাব।

How to use "CC" and "BCC" in mail/gmail/yahoo mail/outlook/live...

ইমেইল কিভাবে পাঠাবেন এই নিয়ে অনেকেই অনেক দ্বীধা দ্বন্দে থাকেন। কোন জায়গায় কি কি লিখবেন আর ইমেইলের পাশে সিসি (CC) বিসিসি (BCC) এগুলোই বা কি এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং কেনইবা ব্যবহার করা হয় আর কোন কোন সময় ব্যবহার করা হয়না তা নিয়ে এ ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে। 
To: যাকে বা যাদের মেইল পাঠাতে হবে তাদের ইমেইল এড্রেস এ ঘরে লিখতে হবে। ইমেইল এড্রেস লেখার সময় অবশ্যই পুরো ইমেইল এড্রেস লিখতে হয় এবং কোন প্রকার ভুল করা যাবে না। একটি ইমেইল এড্রেস লেখার পর আরোও ইমেইল লেখার প্রয়োজন হলে কমা দিয়ে আরেকটি ইমেইল এড্রেস লিখতে হবে। তবে এক্সেলের সেলে আলাদা করে ইমেইল এড্রেস লেখা থাকলে সব গুলো কপি করে To এর ফিল্ডে পেস্ট করলে সব লেখা হয়ে যাবে এক্ষেত্রে আলাদা করে লিখতে হবে না। একবার এড্রেস লিখে রাখলে বারবার ব্যবহার করা যাবে। 
CC: কার্বন কপির আরেক নাম হল সিসি। অর্থাৎ চিঠি একটাই লেখা হয় এবং যদি সেটার কপি অনেকের কাছে পাঠতে হয় তখন CC-তে রাখা হয়। সিসিতে যাদের এড্রেস লিখবেন তারা দেখতে পাবে To তে কাদের কাদের মেইল করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে To তে যাদের মেইল করা হয়েছে তারাও দেখবে যে সিসিতে কাদের কাদের একই মেইলটা পাঠানো হয়েছে। 

কেন সিসি করা হয়?




যাদের মেইল করা হয় তারা সে মেইল পেয়েও অস্বীকার করতে পারে তাই কাউকে মেইল করার সময় সিসি করে রাখা হয় কোন উর্ধতন কর্মকর্তাকে। 
বিসিসি: সিসির আরেক নাম হল বিসিসি। বিসিসিতে যাদের মেইল করা হয় তারা দেখতে পারে কাদের কাদের মেইল ও সিসি করা হয়েছে তাবে CC এবং To তে যাদের মেইল করা হয়েছে তারা জানতে পারেনা একাই মেইল বিসিসিতে অন্য কাউকে পাঠানো হয়েছে।

বিচার, সেটা হোক সমাজে হোক পরিবারে

চুপ করে থাকতাম কোন প্রতিবাদ নয়। কারণ ইতিপূর্বে সব সময় কেবল আমার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। আর এ বিচারেও যে রায় আমার বিরুদ্ধে হবে তা জেনেই হয়ত আমি চুপ থাকতাম। সব বিচার যে আমার বিরুদ্ধে হত তা কিন্তু নয় দেখা যেত আমার পক্ষে রায় আসছে কিন্তু আমার বোঝা দায় ছিল, কারণ ছোট ছিলাম। বাব-মা আমাদের ভাই-বোনের বিভিন্ন অঘটনের বিচার করতেন। প্রায় সময় দেখা যেত বাবা-মা এর ঝগড়ায় ভাই-বোনেরা পক্ষে বিপক্ষে থাকলেও আমি নিরপেক্ষ থাকার কারনে এবং ঝগড়ার বিপক্ষে থাকার কারণে আমি একা পড়ে যেতাম। এবং তারা সবাই মিমাংসায় আসলেও আমি যে কোন পক্ষে যাইনি তাই প্রায় সময় আমাকে নিম্ন মানসিকতার মানুষ ভাবতেন তারা।
এটি বেশিদিন আগের ঘটনা নয় যে আমি চুপ থাকি, মানে তকালও আমার বিরুদ্ধে রায় হলে প্রতিবাদ করতাম কার কি দোষ বোঝাতাম, না বুঝলেও আমি বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, এবং বিচারের পর আমি আইন!! নিজের হাতে তুলি নিতাম আর পুনরায় দন্ডিত হতাম। শারিরিক ভাবে দুর্বল আর মেজাজ গরম থাকার কারনেই হয়ত আমার অনেক ভুল হয়ে যেত যার কারনে ভাই-বোনদের কাছে আমি হেরেও যেতাম এবং কোন বিচারের রায় আমার পক্ষে যেত না। যেমন ভাই বোনের মারামারিতে আমি অপদস্ত হতাম বেশি আর বিচারের রায় হত এমন যে, আমিই মারামারি শুরু করেছিলাম। এমন যখন সবসময় হত এবং নোটিস করলাম যে বিচার আমার পক্ষে থাকবে না তাই প্রতিবাদ বন্ধ করলাম। মানে সেদিন আমি যেহেতু অপরাধী তাই আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম শাস্তির জন্য এবং কোন রকম প্রতিবাদ করা ছাড়াই দন্ডিত হতাম
রায় আমার পক্ষে না থাকার করনে রাতে চুপিসারে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যেতাম তা আগের থেকে বেড়ে গেল। আমার পাশে ভাই-বোনেরা ঘুমালেও তারা কোন দিনও জানতো না, তারা যন গভীর ঘুমে থাকতো তখন আমি মুখবুজে বালিশ ভেজাতাম। সে দিনের পর থেকে বালিশের একপাশ ভেজার কারণে অপর পাশে ঘুমাতে যেতেও বালিশ ভিজে যেত।
কবে থেকে এমন কাঁদতাম তা মনে করতে পারি না, তবে এমন কাঁদার কারণে রাতে ঘুম দেরি করে আসতো আর ভেজা বালিশে ঘুমাতে না পেরে বালিশ ছাড়াই ঘুমাতাম কখন জানতাম না। এত দেরি করে ঘুমানোর কারনে ভাই বোনেরা আমার আগেই ঘুম থেকে উঠতো এবং আমাকে ওঠানোর জন্যই তারা ব্যস্ত হয়ে থাকতো। দোষ আমি বেশি ঘুমাই। কান্নার কথা আমি কোন দিনও তাদের বলি নাই, তারা আমার কষ্টের উপহাস করবে ভেবে। তারা জানতোই না রাতে আমার কি হয়, আমি কি করি। সকালে আমাকে উঠতেই হত তাদের সাথে। তা না হলে সিলিং ফ্যান ছেড়ে ঠান্ডা করে রাখা হত আমাকে, কাথা জড়িয়ে তা নিবাড়ন করার চেষ্টা করলেও তারা তা কেড়ে নিত। না আমরা দরিদ্র ছিলাম না, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। শেষের দিকে তোষকের নিচে চলে যেতাম, তাতেও রক্ষা হত না, তারা হয়তো মজা পেত আমার এমন ঘুম নিয়ে। কিন্তু আমার তো ঘুমাতে হবে। আমি কিছুতেই না পেরে বিছানা ছাড়তাম, ঘড় ছাড়তাম, এবং ঘুমিয়ে পড়তাম বাসার ছাদে যেখানে তাদের আনাগোনা থাকতো না, এবং কাক সহ অন্যান্য পাখিদের সুমধুর কন্ঠ সঙ্গে রোদ আর বাতাস থাকতো। ঘরের ঘুমটা আমি বাহিরে কাটানো কোথা থেকে শিখেছি জানিনা, যতদূর মনে পড়ে ঘুম থেকে ধমকের সূরে এবং ফ্যান ছেড়ে অত্যাচার করাটা খুব খারাপ এবং না ঘুমাতে দেয়াটাই সবচেয়ে কঠিন শাস্তি যেটা আমি পেয়েছি। তখন থেকেই আমি কাউকে ঘুম থেকে জাগাতে পারি না, এমনকি ভাই-বোনেরা আমার ঘুম নিয়ে মজা করলেও আমি তাদের কোন সময় ঘুম থেকে জাগাতাম না। বাবা-মা আমার এই ঘুম থেকে না জাগানোটাকেও অপরাধ ভাবতেন, অবশ্য ব্যাপারটা আমি সমাধান করে ছিলাম, মানে গায়ে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুম থেকে জাগানোর সিস্টেমটা এপ্লাই করতাম। কিন্তু আমার পরিবার আমাকে দীর্ঘ ১৮ বৎসর যাবৎ ধমকের সূরে ঘুম থেকে জাগিয়েছিল, যদিও পরে তাদের বোঝাতে পেরেছিলাম আমাকে কিভাবে ঘুম থেকে উঠাতে হবে। আর ভাই বোনদের বোঝাতে হয় নি। কারণ আমি সেদিনের পর থেকে তাদের সাথে এমনকি বাবা-মার সাথেও কথা বলা বাদ দিয়েছিলাম। যন টাকা লাগতো তখন, মানে বাহিরের খাবার না খাওয়ার কারণে আমার হাত খরচ ছিলো না, স্কুলের বা কলেজের ফি লাগতো তার জন্যই টাকা চাইতাম কোন অতিরিক্ত টাকা চাইতাম না তাই কোন অতিরিক্ত কথাও বলতে হতো না। এই অল্প কথা বলার এবং কথা না বলাটা আমার জন্য কাল হয়ে গেল। আমি কারো সাথে কথা বলতে পারি না। সাবলিল ভাবে কথা বলতে বলতে তোতলামো চলে আসে, কিছুতেই নিয়ন্ত্রন করতে পারি না।


How to Two Factor Security Login on FaceBook for lifetime security hack ...

ফেসবুকে দুটি পাসওয়ার্ড দেয়ার সিস্টেমটা অনেক উপকারী। এত প্রথম পাসওয়ার্ড হ্যাক হলে বা অন্য কেউ জেনে গেলেও সে লগইন করতে পারবে না কারণ এরপর মোবাইলে একটি পাসওয়ার্ড আসবে যা অন্য কারে পক্ষে দেয়া সম্ভব না। এতে ৬ ডিজিটের একটি কোড থাকে যা কেবল একবারই ব্যবহার করা যায়্। এই কোডটি ব্যবহারকারী যে মোবাইলে সেট করতে চায় সে সেট করে নিতে পারবে। এবং মোবাইল নাম্বার চেঞ্জ করতে চাইলে করতে পারবে।

Train View, morning and change line form Engine in Bangladesh

Train view from the engine is possible only in developing countries. It is so beautiful moment to see nature or beauty from the train engine. Bangladesh is a beautiful country here have all in nature. But most of the people like the city where have no pure oxygen and no pure water. The train which line in a village that's green and here has pure oxygen. How to train cross line is rear to view, if the train is very slow we can view how to train cross line. The train on how to change the line is maintained by train station authority. Changing the train line is so beautiful moment and this time the train gets an extra shake.

How to Lock selected Cell to protect edit and access. Protect specific ...

এক্সেলশীটে কোন সূত্র লিখে কাউকে পাঠালে সে যেন তা পরিবর্তন করতে না পরে। অথবা এক্সেল শিটে কোন লেখা যাতে কেউ কপি করতে না পারে এবং ইডিট করতে না পারে এর জন্য এক্সেলশীট পুরোটা বা এর কোন সিলেক্টেড সেল লক করে দিতে পারবেন। ভিডিওতে বিস্তারিত সব দেয়া আছে। তবে কোন সমস্যা হলে জানাবেন আমি অবশ্যই আপনার কমেন্টের উত্তর দিব।


How to make result sheet calculating with 4th subject

পরীক্ষার্থীদের রেজাল্টশীট তৈরী করতে পারলে এক্সেলের বেসিক অনেক কাজ শেখা হয়ে যায়। শুধুমাত্র অফিসের কাজ শেখার জন্য অফিস প্রোগ্রামের ভিতর এক্সেলের মাধ্যমে রেজাল্টশীট এবং স্যালারি শিটের কাজ জানতেই হবে। রেজাল্টশীট এবং স্যালারি শীট ভালোভাবে তৈরী করতে জানলে আপনি যে কোন অফিসের কাজ করতে পারবেন।

Free Download excel file format to practices

নিচের নীল রং-এর চারকোনা  বক্সে ওয়ানড্রাইভে পাবেন আপনার কাঙ্খিত এক্সেল ফাইলটি।

ভিডিওতে দেয়া এক্সেল ফাইল এবং শর্টহ্যান্ডের প্রাকটিস ফাইল আপনাদের সুবিধার্থে এখানে আপলোড দেয়া হয়েছে। কোন ফাইল ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে জানাবেন আমি আলাদা করে কোন লিংক দিয়ে দেব।

কোন ফাইল ডাউনলোড করতে  লগইন করতে হবে না।




How to Lock selected Cell to protect edit and access. Protect specific ...

How to copy excel Worksheet one workbook to another workbook.

মাইক্রোসফট এক্সেলের কোন শীট কপি করে অন্য কোন ওয়ার্কবুকে বা উক্ত শীটটি নতুন ওয়ার্ক বুকে কপি করা জন্য প্রসেস ভিডিওতে দেয়া হয়। কোন ওয়ার্কবুকে অনেকগুলো ওয়ার্কশীট থাকতে পারে এর ভিতর যখন কোন নতুন ওয়ার্কশীট বসানোর প্রয়োজন হয় তখন আমরা সহজেই নতুন ওয়ার্কশীট তৈরী করতে পারি। তবে যদি অন্য কোন ওয়ার্কবুকের ওয়ার্কশীট কপি করে আনতে হয় তখন কপি করাটা সাধারণভাবে কপি করলে হয় না। তখন ওয়ার্কশীট কপি করার জন্য আলাদা প্রসেস মেইন্টেন করতে হয়। তাই একটি এক্সেল শীট কপি করে আরেক জায়গায় কিভাবে নেয়া যায় তার পুরো প্রসেস এখানে দেখানো হয়েছে।


How to use WordArt to Curve/ Arch text in MS word

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বাকানো লেখা লেখার জন্য এবং কোন গ্রাফিক্যাল ডিজাইন করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের “ওয়ার্ড আর্ট” অপশনটি ব্যবহার করে দারুন সব ডিজাইনের আর্ট করা সম্ভব। শুধুমাত্র কার্ভ অর্থাৎ অর্ধবৃত্ত করে কোন বিদ্যালয়ের নাম লিখে একটি উদাহরণ দেয়া হল এখানে। এই অপশনটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে সেপ এবং পিকচার ব্যবহার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।



সেপ এবং ছবির টিউটোরিয়াল দেখুন নিচে যথাক্রমে







How to Text box in MS Word any version to write anywhere.

How to fix cell || Cell fixing in xl || Excel Cell fixing

ফুটপাত এবং ওভার ব্রীজ কেন সবাই ব্যবহার করবে না।

ফুটপাত, তাও আবার আমাদের দেশে!! হ্যারে ভাই আমাদের দেশে সব আছে। বিশাল বিশাল ফুটপাত এবং সংকীর্ন ফুটপাত সহ দখল এবং হারিয়ে যাওয়া সব ধরনের ফুটপাত আছে। এসব ফুটপাত কখনো উচু আবার কখনো নিচু, কোথাও সাড়া বছর নির্মান কাজ চলমান যা চলবে, আবার কোন ফুটপাতে হাটতে গিয়ে দেখবেন কোন ম্যানহোরে ঢাকনা নেই তবে সেখানে কোন গাছের ডাল/বাঁশ দেয়া আছে যাতে পড়ে গেলে বেয়ে বেয়ে উঠতে পারেন। এত সমস্যার ভিতরেও কিছু কিছু জনতাই কেবল ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারে, সবার পক্ষে এত বাধা পেড়িয়ে ফুটপাতে হাটা সম্ভব হয় না। যারা এক কষ্ট করে হাটতে পারে না তারা সরল-সহজ মৃত্যুর রাজপথে হাটবে এবং এর সংখ্যা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।

ওহ্‌ ওভার ব্রীজ বাদ থাকলো কেন, আসলে এত উপরে কে উঠবে বলেন, নিচ দিয়ে আরামে উপরে স্যরি ওপারে চলে যাবেন, এত কষ্ট করার কি আছে বলেন। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যুতো আসবেই তাই শুধু এক কষ্ট কেন?

মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেই হল

মেয়েকে স্কুলে এনে স্কুলের পাশে বসে দুপুরের খাবার খাওয়া অবস্থায় মহিলাটির মা হয়তো ভেবেছিল মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেই হল।

ফল

জোকারের জোকস্‌ ভালো লাগে, জোকারকে নয়। যেমনটি সোনার তরী কবিতায় ধান প্রয়োজন কৃষককে নয়।

গ্যাস আর মেসের রুমমেট

আমার এক রুমমেট ছিলো। নোয়াখালীর দূর্ভাগ্য থাকায় সেও নোয়াখালীর ছিলো। সারাদিন মার্কেটিং এর জব করতো আর গায়ের দূর্গন্ধ নিয়ে ঘুমাতো। তাতেও আমার আপত্তি ছিলো না। অন্য রুমমেট আপত্তি করতো। আর আমাদের দুজনারই সমস্যা হতো তার গ্যাসে। কারণ সে যখন গ্যাস ছাড়তো মনে হত কোন ইদুর মারা গেছে যেটা তার পেটের ভিতর। একে সিনিয়ার তার উপর একবার বলেছি চিকিৎসা করাতে। পরের বার যখন বললাম সে জানালো নিচের ঔষুধগুলাই নাকি তারে বার বার দেয়। তাই সে কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া বাদ দিয়া এগুলা মজুদ রাখে আর আমাদের কথা যখন তার গায়ে লাগে তখন তা খায়(সেবন করে)।        






আলপিন শেষ সংখ্যা আর উগ্রবাদীদের উগ্রতা

সেদিন যা হয়ে
ছিল আর উগ্রবাদীরা কি ব্যাখ্যা করেছিল। 


বিনোদনের ঘাটতি পূরণ করে নিতে শুধু সপ্তাহে একদিন প্রথম আলো এর আলপিন পড়তাম, তা শুধু পড়লেও হত। সাথে পুরাতন সব সংখ্যা জমাতাম, কারণ পরের সপ্তাহ আসতে অনেক সময় তাই পুরতন সংখ্যা বের করে পড়তাম। আর এত এত বার সম্পদন লেখার আবেদন করতো যে লেখা পাঠাতাম টিফিনের টাকা দিয়ে। যেদিন থেকে বুঝতে পারছিলাম পাঠকদের লেখাও আলপিতে ছাপায় সেদিন থেকে আমার টিফিন খাওয়া বন্ধ। খাম কিনতাম আর আর প্রতিটা লেখার জন্য আলাদা করে খামে চিঠি পাঠাতাম। প্রথম আলোর ঠিকানা আসলে কোটা পেপারের পিছনে তাদের ঠিকানার ডিটেইস দেখে বুঝতাম না। সেটা না বুঝেই লেখার পাঠাতাম অনেক গুলো লেখা পাঠানোর পর বুঝলাম যে আসলে আমি যে ঠিকানা ব্যবহার করছিলাম তা লেখা ভুল ছিলো। পরে কোন একদিন আলপিনেই দেখলাম আসলে খামে কি লিখতে হবে। কিন্তু লেখা অফ করি নাই, যদিও কোন লেখাই ছাপা হত না। আমার লেখার একটাই দোষ ছিলো সেটা আগের লেখাগুলোর ঠিকানা ছিলো ভুল আর সব লেখাতেই হাতের লেখা ডাক্তারদের মত ছিলো :)
কোন একদিন (দিন তারিখ আর সময় একটু কষ্ট করলেই বের করতে পারব করছি না) খুব জ্বর ছিলো এর মধ্যে সেদিন সোমবার (নবীর জন্মদিন) আব্বু পেপার এনে দিল সবসময় পেপার আমি আনতাম সেদিনের অবস্থা দেখে তার মায়া হল তাই সে এনেছিল। আর আমি যে সব বিভাগে লেখা পাঠাতাম সেগুলা না দেখে শুরু থেকে পড়তে শুরু করলাম আর যখন সে বিভাগে পৌছালাম দেখি আমি শ্রেষ্ট প্রশ্নদাতা!!
সেদিন জ্বর চলে গেল আমি পুরা সুস্থ আর পরের দিন থেকে আবার স্কুল। আহ্‌ কি সুন্দর আলপিন আমার লেখা ছাপাইছে। তার পরে আরে লেখা পাঠাতাম কোন লেখােই আর এপ্রুভ হত না। আর পড়তে আর জমাতে থাকা বন্ধ হল না কিছুতেই। এই শুরু হয়েছিল আলপিনের সাথে যাত্রার ২০০৫/৬ সালের দিকে তা একটু কমে গেল যখন আমি মফস্বল ছেলে চলে আসছিলাম গ্রামে। মানে এখন পেপার পাওয়া খুবই কষ্টকর মানে শহরে যেতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আর খুজে বের করতে হবে পেপারবয়কে। বেশ কয়েকটি আলপিন মিস তার উপর পড়ার খুব চাপ। একদিন খুজে পেয়ে সব বললাম এবং কিছু টাকা এডভান্স করে মোবাইল নাম্বার এবং একটি দোকানে সোমবারের পেপার দিতে অনুরোধ করাতে সে রাজি হল। এবং প্রায়ই সে প্রথম আলো নাথাকায় অন্য পেপার দিত আর আমি হতাশ হতাম কারণ তখন আমার একমাত্র বিনোদন ছিলো আলপিন। এমনি একদিন কলেজে গিয়ে দোকানে পেপার চাইলে বলে প্রথম আলো বন্ধ!! আমি ভাবলাম হয়তো অন্য কোন সমস্যা বন্ধ হবে কেন। এবং কলেজ থেকে আসার সময় শুনলাম ব্যাপক মাত্রায় গুজব কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল তা জানার মত মাধ্যম আমার কাছে ছিল না। তবে গুজবে কি ছিলো তা আপনি আপনার এলাকার যেকাউকে জিজ্ঞাসা করেন বলে দিবে আর সত্য তো উপরে দেয়াই আছে। এটাকে গুজবের সাথে মিলাবেন আর সে সময়ের আন্দোলনের মাত্রা দেখবেন। উগ্রবাদীদের নিয়ে মন্তব্য করাটাও একটা অবান্তর কাজ। তাই তাদের কি বলব শুধু শুনে শুনেই বিশাল গনজামায়াত :) :) 

No risk No Gain
When crossing road think
"It's so risky and u will get everything"

বনানীতে আগুন, দিলে ফাগুন!!

বনানীতে আগুন লাগার পর  সিটি কর্পোরেশন + রাজউক দৃশ্যমান কিছু দালান পরীক্ষা!! নিরীক্ষা!!!করে বিশাল আকারের ছোট দেখে  “এই বিল্ডিংটি অগ্নি ঝুকিপূর্ণ ” লিখে একটি স্টিকার আর তাদের মূল্যবান লোগে সেটে দিয়েছিলো। কয়েকটি দালান সে লজ্জার স্টিকার কয়েকদিন বহন করার পর লজ্জা ঢাকার জন্য  স্টিকার তুলে ফেলে, অবশ্য “কেউ দেখে না” এই অজুহাতে ভবন মালিকরা জানায় তারা নাকি  তুলে ফেলেছে । এতটুকু স্টিকার শুধু শুধু এত বড় দালানের সৌন্দর্য নষ্ট হয় করে বলে মনে হয়। কেউ বলে স্টিকার দেখে মনে হয় যেন “হারবালে বিজ্ঞাপন দিছে।” তাই সকলের সুবিধা আর মান সন্মানের কথা চিন্তা করে তুলে ফেলা হয়েছে। এতটুকু স্টিকার তুলতে কর্তৃপক্ষের! মহামূল্যবান সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয়না বলে মনে করছেন সুশিল সমাজ।

ঝুঁকি এবং আমরা

আমরা জাতি হিসেবে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি, যেমন অ-নিরাপদ যৌনমিলন, ফুটপাত পরিষ্কার রেখে রাস্তায় হাটা,  বিনিয়োগ চিন্তা না করে টাকা কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ করা, তথ্য নিজে যাচাই বাচাই না করে দালাল কে বিশ্বাস  করে নগদ টাকা প্রদান, টাকা জমানোর জন্য কোন প্রতিষ্ঠান যাচাই বাচাই না করে টাকা জমানো ও হারানো, ডিড লেখার অভ্যাস না করে মৌখিক চুক্তিতে ঋণ প্রদান, তথ্য দাতাদের ছেড়ে চাটুকারদের বিশ্বাস, ঘরের স্বাস্থকর খাবার বাদ দিয়ে ফুটপাতের খাবার মজা করে খাওয়া ও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার, বিয়ে না করে রিস্কি পরকিয়া, কাজ না শিখে চাকুরীতে আবেদন। আরো থাকলে কমেন্টে জানান লিখে রাখব সাথে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞা সহ।

ভেড়া

ভেড়া মানে কারো কাছে এস তার অনুগত হওয়া। আপনার কোন এক দলনেতাকে ভালো লাগতেই পারে এবং তাকে সাপোর্ট করে কিছু করা মানেই আপনি তার কাছে ভিড়েছেন মানে যাকে বলা হয় ভেড়া।
তো ভেড়া কিভাবে এলা, কোন একদিন  একটি ভেড়া ঘাস না খেয়ে গাছের নিচে ছায়া খাচ্ছিলো, সে দেখলো অন্যান্য ভেড়ারা ঘাস এলোমেলো করে খাচ্ছে, মানে এখানে এক কামড় তো আরেক জায়গায় আরেক কামড়। তাই সে একটি থিউরি বানালো, যেমন যদি নিয়ম শৃঙ্খলিত ভাবে ঘাস কোন এক প্রান্ত থেকে খাওয়া শুরু করে তাহলে দ্রুত পেট ভরবে এবং পরে অন্য কাজে মন দেয়া যাবে। এতে প্রডাক্টেভিটি বাড়বে। জাস্ট শুরু হয়ে গেল ভেড়ার ভেড়া হবার গল্প। অনেক ভেড়া সে জ্ঞানী ভেড়ার অনুগত লাভ করে বড় বড় ভেড়া হল, তাদের নিচের গুলো একটু ছোট ভেড়া এভাবে হায়রাক্রির মত ভেড়াদের ক্ষমতা বন্টন করে ভেড়ারা ভেড়ার দল গঠন করল। এতে কিছু কিছু ভেড়ারা তাদের পুরাতন স্টাইলে ঘাস খাওয়া অব্যাহত রাখল। তবে ভেড়াদের সংগঠন দেখে তারা ওল্ড স্টাইল ভেড়ার দল নাম দিয়ে ভেড়ার জন্য ভেড়ার দল গঠন করল। এ দলের নেতা হল পুরাতন স্টাইল অক্ষন্ন রেখে ইতিহাস বজায় রাখা কমিটির প্রধান।
ঘাস খাওয়া নিয়ে এবং পুরাতন স্টাই নিয়ে এই ভেড়াদের দল দেখে কোন এক গাছে বসা ভেড়া নতুন স্টাইলে দল নিয়ে ভেড়া সংগ্রহ করতে শুরু করলো এভাবে পুরা এলাকায় ভেড়া সংগঠন গড়ে উঠলো এবং পুরো দেশে বিভিন্ন বামে বেনামে ভেড়াদের ভেড়া সংগঠন তাদের যাত্রা শুরু করল। কেউ কেউ তাদের কার্যক্রম গাছের গায়ে, পাতায় পাতায় লিখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল। তাতে ভেড়াদের ভিড় আরো বাড়লো। এরমধ্যে অনেক ভেড়া পাহাড়ের দেয়ালে, নিজর বাসার দেয়ালে দলের প্রধান ভেড়াদের ছবির সাথে প্রধানের আশেপাশে থাকা নেতাদের ছবি আর্ট করে রাখলো এতে তাদের পদন্নতি হল। এত ঘাস খাওয়ার পদ্ধতিতে যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো তা তত দিনে বিলুপ্ত। কারণ এখন আর নীতি দেখলে হবে না পদ দেখতে হবে, ক্ষমতা দেখতে হবে।  কোন ভেড়া কোন দলের এটা বোঝা দায় হচ্ছিল দিন দিন কারণ অনেকগুলো ছোট ছোট সংগঠন। তাই কতোগুলো ভেড়ার দল এই নিয়ে চিন্তা করে ৬ টি দল একত্রে কাজ!! করার সিদ্ধান্ত নেয়, এবং ৬ দলের প্রধান এই কম্বাইন্ড দলের নাম দিলো ছয় দলীয় ঐক্যজোট।  এতে ভেড়াদের অন্যান্য দলের নেতাদের ইমেজের ব্রাইটনেস কমতে থাকলে তারা অনেকে একসাথে আপন শক্তিতে জ্বলে উঠতে চাইলো এবং তাদের নাম দিল বড় ভেড়ার দল এবং তাতে কোন লিমিট থাকলো না।
এত বেশ ভালোই চলছিলো ভেড়াদের ভেড়ার সংগঠন। কিন্ত দলনেতাদের যে মধুর কথা শুনে সব বড় নেতারা দলে ভিড়ে ছিলো তারা দেখলো বড় নেতারা ঘাস না খেয়ে অখাদ্য খেয়ে মাতাল থাকছে, অনেকে পায়ে না হেটে চারপেয়ো কচ্ছপ সহ হাতিকে ব্যবহার করছে। তো কেবল শুরু হল ভেড়াদের ভেড়া বাদ দিয়ে নতুন করে ভেড়া। এতে সমস্যা হল যে ভেড়াদের সদস্য সংখ্যা বেশি তারাই সকল সুবিধা পাবে বাকিরা অনুগ্রহ। এতে ছোট দল গুলো বড় ভেড়াদের দল ভিড়তে লাগল সামান্য ভুষভুষা খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য। আর যখন সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া অফ হয়ে যায় তখন বিরাট! আন্দোলনের মাধ্যমে তারা বর্তমান বিরাট জোট থেকে বের হয়ে অন্য আরেক জোটে যোগ দিতো নাম মাত্র সুবিধা প্রাপ্তির জন্য।

রুম ছাড়ার ছাড়পত্র

রুমমেট হিসেবে থাকার পর রুম ছাড়ার সময় একটি ছাড়পত্র নেয়া দরকার কারণ যদি কোন কারণে আপনার সাবেক রুমমেটরা আপনার উপর কোন দোষ চাপাতে চায় তাহলে নথিটি কাজে লাগবে। যেভাবে রুম ছাড়ার ছাড়পত্র লিখবেন।

বরাবর,
বাড়ীওয়ালা (নাম লিখবে)  
মাধ্যম বর্তমান রুমমেট  (নাম লিখবেন)
ফ্লাটের নাম, বাড়ীর নাম্বার ও নাম
রোডের নাম, ঠিকানা পুরোটা

বিষয়ঃ রুম ছাড়ার ছাড়পত্র

জনাব আমি আপনার ..ফ্লাটের একজন রুমমেট হিসেবে গত ..মাস ধরে বসবাস করে আসছি। সাম্প্রতি আমারা চাকুরী অন্যত্র হবার কারনে আমাকে উক্ত এলাকায় চলে যেতে হচ্ছে। আমি আপনার বাসস্থানে থাকাবস্থায় সকল পাওনা পরিশোধ করে চলে যাচ্ছি  এমতাবস্থায় কোন প্রকার ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমাকে সকল দায়-দেনা মুক্ত করে ছাড়পত্র দেবার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ করছি।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাকে উক্ত ছাড়পত্র প্রদান করে পরবর্তী কোন বাসায় ভাড়া থাকার জন্য সাহায্য কর বাধিত করবেন।

আপনার নাম
মোবাইল নাম্বার
স্থায়ী ঠিকানা

যদি কোন কারণে ছাড়পত্রে কেউ সাইন করতে না চায় তাহলে ছাড়পত্র নিয়ে কথা বলার সময় সকল কথা আগেথেকে সাউন্ড রেকর্ড করে রাখবেন। তাতে রুম ছাড়ার কিছুদিন পর আপনাকে কেউ কোন দোষারপ করতে পারবে না।

রুমমেট / ভাড়াটিয়া নেবার আগে এবং পরে || রুমমেট হলে করণীয়

মেসে রুমমেট প্রয়োজন এবং বাড়ী ওয়ালার দরকার ভাড়াটিয়া। তবে রুমমেট যদি কোন অঘটন ঘটিয়ে যায় তাকে সহজে খুজে বের করা মুশকিল তেমনি কোন ভাড়াটিয়া কোন অঘটন ঘটিয়ে চলে গেলে তাকে খুজে পাওয়া মুশকিল।

তাই মেসে রুমমেট নেবার আগে (রুমে ওঠার আগে) যে সব বিষয় অবশ্যই মানতে হবে তা হলঃ

১। রুমমেটের বয়স ২০ বা তার বেশি হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি, ফটোকপিতে লিখে দিতে হবে কোন বিল্ডিংকে কোন তলায় কোন রুমে রুমমেট হিসেবে উঠছে এবং আইডি কার্ডের মত করে সাইন নিতে হবে সাথে তারিখ। এবং অবশ্যই মূল আইডি দেখাতে হবে এবং অনলাইনে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
 আইডি কার্ড না থাকলে জন্মনিবন্ধন এর ফটোকপি মূলকপি দেখে যাচাই করে নিতে হবে সাথে চেয়ারম্যন পরিচয় পত্র নিতে হবে।
২। তার দুটি মোবাইল নাম্বার নিতে হবে।
৩। ২ জন আত্তিয়ের মোবাইল নাম্বার নিতে হবে, এবং ভেরিফাই করতে হবে এবং তাদের ঠিকানা জেনে নিতে হবে।
৪। ছাত্র হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি চাকুরীজীবি হলে প্রতিষ্ঠানের আইডির কপি নিতে হবে।
৫। পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে হবে,  এবং মোবাইলে রুমমেটের ছবি তুলে রাখতে হবে।
৬। এডভান্স ১মাসের ভাড়া রাখতে হবে।

ভাড়াটিয়া নেবার ক্ষেত্রে।

১। পরিবারের অভিবাকের আইডি কার্ড, প্রতিষ্ঠানের আইডি কাড/ব্যবসা হলে ট্রেড লাইসেন্সের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সরাসরি তোলা ছবি রাখতে হবে। তবে সন্দেহ হলে সবার আইডির কপি রাখা যাবে।

ভাড়া বা রুমমেট নেবার পর।

মাসে  একাধিক বার সবার বাসায় গিয়ে দেখতে হবে সন্দেহজনক কোন কর্মকান্ড কেউ করছে কি/না। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা একা না গিয়ে সাথে কাউকে দিয়ে চেক করলে ভালো হয়। তবে শুধুই চোখের দেখা দেখতে হবে কোনভাবেই যেন ভাড়াটিয়াদের প্রাইভেসির উপর আঘাত হানে এমন ভাবে চেক করা যাবে না। শুধু খোজ খবর নেবার জন্য যেভাবে যাওয়া যায় শুধুই সেভাবে।

রুমেমেট হয়ে আসা ব্যক্তির করণীয়

যেহেতু রুম ছেড়ে আসছেন তাই একটি সাদা কাগজে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটিয়ে রুম ছেড়েছেন তার একটি ছাড়পত্র লিখে রুমমেটদের কাছ থেকে সাইন নিয়ে আসা। যদি এমন মনে হয় যে তারা সাইন দিবে না তাহলে চলে আসার সময় সকল কথাবার্তা রেকর্ড করে নিয়ে আসবেন নিজের সেফটির জন্য। কারণ তারা যদি কোন মিথ্যা অপবাদ দেয় তাহলে ছাড়পত্র বা রেকর্ড আপনার পক্ষে কথা বলবে।

সফলতার সহজ এবং সংক্ষিপ্ত উপায়

স্বাগতম,
সফলতার সহজ এবং সংক্ষিপ্ত পথ অনেক জায়গায় খুজে হয়তো আমার এই ব্লগে এসেছেন নতুবা প্রথমেই আমার এই আর্টিকেল পেয়েছেন। যদি আগে হতাশ হয়ে থাকেন অন্য কোন ব্লগ পড়ে বা কোন মোটিভেটরের কথা শুনে তবে এখানে আপনি পাবেন সফলতার সহজ এবং সংক্ষিপ্ত পথ। তবে চলুন সফলতার পথে, আমরা ধাপে ধাপে এগুবো এবং সফলতার দিকে পৌছাব।


১। বই পড়ুন প্রতিদিন। যে কোন বই। তবে পড়তে হবে ২ঘন্ট একটানা। মানে কোন বিরতি নেয়া চলবে না। তবে প্রকৃতির ডাকে শুধু সাড়া দেয়া যাবে। পানি পান করতে চাইলে অল্প পরিমান করে পান করা যাবে। এই ২ঘন্টায় মোবাইল অফ থাকবে, বাব-মা সহ ইম্পর্টেন্ট পারর্সোনকে বলে রাখবেন যেন দুশ্চিন্তা না করে। তাই এমন ২ ঘন্ট বেছে নিবেন যাতে কোন কল মিস না হয়। তবে মনে রাখবেন আপনি সফলতার দিকে যাচ্ছেন এতে দিনের মাত্র দুই ঘন্টা মোবাইল অফ রাখাটা তেমন কিছুই না।


২। বইয়ের সাজেশন চাইতে পারেন অনেকেই তাই বলছি আপনার হাতের কাছে যে বই আছে আপাতত সেই বই পড়া শুরু করেন। তার পর বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে যেটা সে দিতে সম্মত সেই বইটা এনে পড়ে শেষ করে দিন। তবে মনে রাখবেন কোন দিনও যেন বই পড়া মিস না হয়। মানে প্রতিদিন বই পড়বেন। তাই বাহিরে গেলে ছোট বই নিয়ে যাবেন যাতে পড়া মিস না যায়। 


৩। এত বই পাবেন কোথায়? খুব সহজ আমাদের দেশে বইয়ের দাম খুবই নগন্য আমরা বইয়ের দাম দিতে জানিনা, লেখকদের মূল্যায়ন করতে জানি না ফলে দেখা যায় লেখক কবিরা দিন শেষে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় এবং তারা মারা যাবার পরে তাকে স্মরন করি আরো অনেক পরে!! যাই হোক রাস্তাঘাটে ফুটপাতে এবং ভাঙ্গারির দোকানে অনেক পুরাতন বই পাবেন। সেগুলো একটি একটি করে সংগ্রহ করে পড়বেন আর আপনার সংগ্রহে রাখবেন। টাকা না থাকলেই উপরের ধাপ অনুসরন করবেন। আর টাকা থাকলে নিচের ধাপে।

৪। বি.সি.এস কনফার্ম এসব বই পড়তে পারেন। তবে আপনার যদি মুখস্তবিদ্যা থাকে এবং চাকুরী প্রত্যাশা করেন তাহলে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী মুখস্ত করুন একটা চাকুরী নিশ্চিত পাবেন। অনেকে সরকারী যে কোন একটি চাকরিকেই তাদের সফলতা মনে করেন। তবে আপনার যদি তা না হয় তবে আপনাকে মুখস্ত নয় শুধুই বুঝে বুঝেই পড়ে যেতে হবে এবং বইগুলো সংগ্রহ করতে হবে।

৫। মাত্র এক মাস এভাবে বই পড়া শেষ করলে বুঝতে পারবেন আপনি সফল হবেন নাকি চাকুরী পেয়ে সফল হবেন।  দ্বিতীয় মাসের শুরুতেই আপনি কোন কোন বই পড়তে হবে জেনে যাবেন এবং এবং আপনার সফলতার বাতাস শরীরে লাগতে থাকবে। থামেন শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে আপনাকে পড়া চালু রাখতেই হবে। এভাবে চলতে থাকবে আপনি এতদিনে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকীয় পড়া শুরু করেছেন আর আগের দুই ঘন্টায় আপনার পড়ার সীমাবদ্ধতা নাই আপনি দুই এর সাথে কয়েক ঘন্টা গুণ করে পড়ছেন আর আনন্দের সাথে পড়ছেন। 

৬। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে হয়ত আপনার পড়াশুনা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে  এখন কোন সমস্যা নাই আপনি টিউশনি সহ অল্প বেতনে অনেক চাকুরী পাবেন সেখানে কম সময় কাজ করা যায় এমন প্রতিষ্ঠান যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা চাকুরী নিন আর পড়াশুনা চালিয়ে যান।

৭। এত পড়ার উদ্দেশ্য হল আপনার মেধাকে বিকশিত করা। আপনি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ভাবতে পারেন এগুলো নিয়ে লিখতে শুরু করেন বিভিন্ন পত্রিকায়। বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। লেখাকে যুক্তিযুক্ত করে বিভিন্ন পেপারে পাঠান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আসা যাওয়া করেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলুন দেখবেন আপনার কোন একটি দিক খুলে যাচ্ছে তবে কোন দিকেই আপনার যেতে মন চাইবে না আপনি শুধু হাসবেন হায় সফলতা তুমি আমার দিকে আসে নাই আমি এখন ভাবছি কোন দিকে আমি সফল হব।

ক্ষুধা

ভেড়ার পালের সাথে আমিও তাদের সাথে যাই তবে ফিরে আসি না। পালের সর্দার বলে নেকড়ে খেয়ে নিবে আমাকে। আমি জানাই নেকড়ে আমাকে খাবে না। সর্দার আমার কথা শুনে হাসে, আমিও হাসি। কারণ আমরা ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য ঘাস খাই কই ঘাস তো পালিয়ে যায় না। তাদের অনেককে আমরা এবং আমিও খেয়েছি তারা হয়তো ব্যাথা পেয়েছে কিন্তু পালিয়ে যায় নি। কারণ একজনের জীবন আরেক জনের বৈচিত্র। নেকড়েরা আমাকে খাবে যখন তাদের ক্ষুধা লাগবে। ক্ষুধা লাগলেই তারা আমাকে খাবে নতুবা মানুষের মত জমিয়ে নষ্ট করবে না। তারা এবং আমরা ততটুকুই খাব যতটুকু খেলে আমাদের খুধা নিবারণ হবে। আমরা ঘাস খেয়ে ঘাসের উপর শুয়ে থাকি তখন তো ঘাস খাই না কেবল শুয়ে থাকি কারণ আমাদের ক্ষুধা নিবারণ হয়েছে।

মানুষ, শহর এবং পানি

শহর একটি আধুনিক বসবাসের স্থান, এখানে সব পরিকল্পনা করে সাজাতে হয়। কোন কিছু এলোমেলো হলে খেসারত দিতে হয় শহরের সবাইকে। শহরে সব কিছু সহজেই পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক কোন কিছুই খুব সহজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। কোন সীমাবদ্ধ স্থানে কিছু সময়ের জন্য থাকা গেলেও নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর বের হয়ে আসতে হয় নতুবা দেখা যায় সবই আর্টিফিশিয়াল।
পানি। পানির অপর নাম জীবন। যদিও তার সাথে আরে কিছু আছে। যেমন বিশুদ্ধ বাতাস, আর পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে।  পানি ময়লা বা দূষিত করা খবই সহজ। প্রাকৃতিক ভাবে পানি দূষিত হলেও প্রকৃতির রয়েছে বিশাল ফিল্টার। যেমন সে তাপের মাধ্যমে পানিকে বাষ্পে পরিনত করে বিষুদ্ধ বৃষ্টি দেয়, আবার মাটির স্তরে স্তরে ফিল্টারের মাধ্যমে মাটির নিচে বিশুদ্ধ পানি জমা রাখে।
তবে শহরের পানি বিশুদ্ধ করা ক্ষমতা নেই। বিশেষ করে অপরিকল্পিত শহরে এদমই নেই। এর জন্য তাদের দূষিত পানে শহর থেকে বের করে শহরের বাহিরে চলে যাবার ব্যবস্থা করতে হয়।


উপরের ছবির মত প্রথমে ছোট করে (৩ ফুটে ব্যাস) ব্যবস্থা ১০ পরে পর এটা উঠিয়ে ১০ ফুট ব্যাসের ডেন করে যে শহরে উন্নয়নের রোল মডেল করে গড়ে!! তোলা হয় সে শহরে না সরানো যায় পানি আর ফিল্টার হবার প্রকৃয়াতো অনেক আগেই শেষ।
এসব শহরের সাথে কিডনি ফেইল রোগির সাথে তুলনা করা যায়। এসব রোগিরা যেমন শরীর থেকে দূষিত পানি ফেলতে পারে না এবং তা পুরো শরীর জুড়ে অবস্থান করে রোগিকে কষ্ট দেয়, ঠিক তেমনি করে অপরিকল্পিত নগরী থেকে দূষীত পানি বের করা সম্ভব হয় না বলে তার বাসিন্দাদের অপুরনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়।

চা এবং কফি

ছোট বেলায় যখন কফি পান করতাম তখন তেতো স্বাদের জন্য তা বিশ্রী লাগতো, আর এটাই নাকি কফির আসল মজা। তো কফির পাউডার কিভাবে বানায় তা নিয়ে মাথায় আইডিয়া আসলো।
স্টেপ ১। চা পাতা দিয়ে চা বানায় এবং তার রং প্রায় কফির মত।
স্টেপ ২। চা পাতা বেশি দিলে চা তেতো লাগে যেমন কফির স্বাদ সেরকম।

এ দুটি স্টেপ থেকেই নিশ্চই কফি বানানোর আইডয়া কফি বানানেওয়লাদের মাথায় আসলে তারা  যেভাবে কফি বানায়।
 স্টেপ ১। চায়ে অনেক গুলো চা পাতা দেয়।
স্টেপ ২। জ্বাল দিয়ে শুখিয়ে পাউডারের মত বানিয়ে বলে  এটা কফি।

এত স্টেপ পাড় হয়ে কফি আমাদের কাছে আসে তাই কফির দাম বেশি। আর আমরাও একটু চা-পাতা বেশি দিলেই তো কফি হয় শুধু শুধু বাড়তি টাকা গুনি।

যাই হোক কফির আলাদা গাছ হয় তা থেকে ফল হয় সেটি অনেক প্রসেসের পর কফি পাউডার হিসেবে আমাদের কাছে আসে যার এক কাপ=তিন কাপ চা (মানে আমার আইডিয়া কফির প্রায় কাছাকাছি)


" বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র "


লিখেছেনঃ নয়ন মনি (তারিখঃ রবিবার, ২০/০৪/২০১৪ - ২১:৪৭)


বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র

প্রথম ভাগ (ধারা ১-১১)
সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামো
১। নামকরনঃ
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগও ইংরেজিতে “Bangladesh Students League” সংক্ষেপে বাংলায় ছাত্রলীগনামে ও ইংরেজিতে “B.S.L.” নামে অভিহিত হবে। এর জাতীয় ভিক্তিতে সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ( Central Executive Committee) সংক্ষেপে নির্বাহী সংসদ নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম হবে কেন্দ্রীয় কমিটি (Central Committee) (পূর্বতন জাতীয় পরিষদ) । অন্যান্য শাখাগুলার নামকরন হবে নিম্মরুপঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখা, পঞ্চগড় ও কক্সবাজার জেলা শাখা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা, ঢাকা মহানগর শাখা, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখা, বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ইত্যাদি।

২। মূলনীতিঃ 

সংগঠনের মূলনীতি হবে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি।

৩। পতাকাঃ


সংগঠনের পতাকা দৈর্ঘ : প্রস্থ ৪ : ৩। পতাকার জমিন সাদা (শান্তির প্রতীক)।জমিনের নীচ প্রান্তে লাল তিনটি অগ্নিশিখা ( আন্দোলন ও সংগ্রামের স্মারক)। অগ্নিশিখার উপরে ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতির পরিচয় বহনকারী তিনটি সবুজ তারকা থাকবে।


৪। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনির সমন্বয়ে আদর্শভিক্তিক একটি সংগঠন গড়ে তোলা ও আদর্শিক পরিচর্যা অব্যাহত রাখা। দীর্ঘ সময়ের শিক্ষার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে একটি সহজলভ্য, বৈজ্ঞানিক, গণমুখী, বৃত্তিমূলক, কারিগরি, মাতৃভাষা ভিক্তিক সর্বজনীন শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া।

৫। প্রাথমিক সদস্যঃ

ক) অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কতৃক স্বীকৃত যে কোন যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন। প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয় ।

খ) সদস্যপদ লাভের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্ব স্ব জেলা শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্ধারিত সদস্যভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী শপথপত্রে স্বাক্ষর করে সদস্যপদ গ্রহন করতে হবে।
গ) যে কোন নিয়মিত ছাত্র ( ৫ এর ক উপ ধারা অনুযায়ী ) ছাত্রলীগের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারে। সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত কোন ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবেনা। চলতি কার্যকালের মধ্যে কারো ছাত্রজীবন ব্যত্যয় দেখা দিলে নির্বাহী সংসদ তার সদস্যপদ বাতিল বা মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে।

ঘ) ছাত্রলীগের স্বার্থে বা সাধারন ছাত্রসমাজের স্বার্থে কোন সদস্য বা কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত অথবা কারারুদ্ধ হলে এই বিপর্যয়ের প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত সদস্যের বা কর্মকর্তার সদস্যত্ব বা কর্তৃত্ব দুই বছর পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে। বহিস্কার বা কারারুদ্ধ হবার দিন থেকে এই হিসাব গননা করা হবে । তবে এই ব্যাপারে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে ।

৬। সাংগঠনিক কাঠামোঃ

ক) ছাত্রলীগ সাংগঠনিক দিক থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিঠি, জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বিদ্যালয় শাখায় বিভক্ত ।

খ) দেশের প্রতেক্যটি মহাবিদ্যালয়ে মহাবিদ্যালয় শাখা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় শাখা গঠিত হবে।

গ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, রাজশাহী মহানগর, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখাসমূহ সাংগঠনিক জেলা হিসেবে গণ্য হবে।

ঘ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, প্যারামেডিকেল ও ঢাকা মহানগরের অন্যান্য চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় সহ ঢাকা মহানগরের চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে একটি ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখা নামে সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হবে এবং ইহা জেলা শাখা নামে গণ্য হবে।

ঙ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ঢাকাস্থ আইন কলেজ সমূহকে নিয়ে ঢাকা আইন জেলা শাখা সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হবে এবং ইহা জেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে।

চ) সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং ঊর্ধতন কমিটির অধস্তন যেকোনো কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করতে পারেন। উক্ত সাংগঠনিক কমিটি আহ্বায়ক কমিটি বা এডহক কমিটি রুপে গঠিত হবে। একজন আহ্বায়ক, এক বা একাদিক যুগ্ন আহ্বায়ক এবং বাকি সদস্য সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। তবে কমিটির পরিধি ৫১ জনের বেশি হবেনা। এডহক কমিটির ক্ষেত্রে একজন সভাপতি, একজন সাধারন সম্পাদক এবং ১৯ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। তবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বিশেষ বিবেচনায় সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

৭। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক শাখাঃ

ক) ওয়ার্ড শাখাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত সাধারন প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে ওয়ার্ড হবে সংগঠনের নিম্মতম ইউনিট। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড শাখার কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা প্রাথমিক শাখা হিসেবে অভিহিত হবে। প্রাথমিক শাখার সদস্য সংখ্যা ২১ জন। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক শাখায় ১ জন সভাপতি, ৩ জন সহ সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ২ জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৫ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির অনুরূপ হবে।এ শাখার কার্যকাল এক বছর

খ) ইউনিয়ন শাখাঃ ইউনিয়ন শাখা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি নিয়ে গঠিত হবে। ইউনিয়ন শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
১ জন সভাপতি, ৫ জন সহ সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ২ জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন সমাজসেবা সম্পাদক, ১ জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক,১ জন তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন আইন বিষয়ক সম্পাদক,১ জন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,১ জন ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ১০ জন সহ-সম্পাদক, ১৪ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। এ শাখার কার্যকাল এক বছর।

গ) ইউনিয়ন \ মাধ্যমিক বিদ্যালয় \ মাদ্রাসা \ ওয়ার্ড( সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলাও মর্যাদাপ্রাপ্ত পৌর শাখার ক্ষেত্রে) শাখা ১০ জন কাউন্সিলর উপজেলার শাখার সম্মেলনে প্রেরন করবেন।

৮। আঞ্চলিক শাখাঃ

সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা কেবলমাত্র সাংগঠনিক কার্যাদির সুবিধার জন্য বা সমন্বয় সাধনের জন্য অঞ্চল ভিক্তিক আঞ্চলিক শাখা গঠন করতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা বা উপজেলা কমিটির সভায় প্রস্তাব পাশ করে তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে।আঞ্চলিক শাখার কোন প্রতিনিধি ঊর্ধ্বতন শাখার বিষয় নির্ধারণী কমিটির সভ্য হবেন না। আঞ্চলিক শাখার সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির অনুরূপ হবে।

৯। উপজেলা শাখাঃ 

৬১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
ক) সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৭(সাত) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৩(তিন) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৩(তিন) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন, বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ১৮(আঠারো) জন, সদস্য ১০(দশ) জন

খ) উপজেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। উপজেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।

গ) উপজেলা সম্মেলনে স্ব স্ব সাংগঠনিক উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত বেসরকারি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় , মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক , আহ্বায়ক ও যুগ্ন-আহ্বায়ক, উপজেলা শাখার নির্বাহী সংসদের সকল কর্মকর্তার বিষয় নিরধারনি কমিটির সদস্য(নির্বাচকমণ্ডলী) হবেন।

ঘ) প্রত্যেক উপজেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রেরন করবেন
কাউন্সিলরদের তালিকা উপজেলা শাখার সম্মেলনেই চুড়ান্ত করে তার কপি জেলা শাখা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে প্রেরন করা হবে।

ঙ) সরকারি কলেজ, বেসরকারি কলেজ( কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমতিসাপেক্ষে) ও জেলার মর্যাদা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ উপজেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে এবং তার নির্বাহী কমিটির সদস্যরাই বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন।

চ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে পৌর শাখাসমূহ উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে।
১০। জেলা শাখাঃ 
১২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
ক) সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ১৫(পনের) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৭(সাত) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭(সাত) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,অর্থ সম্পাদক ১(এক) জন, আইন সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন, সাহিত্য সম্পাদক ১(এক) জন, গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, আপ্যায়ন সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক ১(এক) জন, বিভাগীয় উপসম্পাদক ২৩(তেইশ) জন, সহ-সম্পাদক ৭(সাত) জন, সদস্য ৩৭(সাইত্রিশ) জন

খ) জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সন্সদের অনুমোদন ক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি বাতিল বলে গন্য হবে এবং কেন্দ্রীয় সংসদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ) জেলা সম্মেলনে থানা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কর্মকর্তাবৃন্দ বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে থানা সম্মেলনে নির্বাচিত ২৫ জন কাউন্সিলরও ভোট দিবেন। জেলা শাখার অধস্থন সকল ইউনিটের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

ঘ) প্রতিটি জেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর কর্মী সম্মেলনে প্রেরন করবেন। এই কাউন্সিলরদের তালিকা জেলা সম্মেলনেই কাউন্সিল কর্তৃক তৈরি হবে। নির্বাচিত তালিকার এক কপি জেলা ও অপর দুই কপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রেরন করা হবে।

ঙ) সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়, সরকারি মহাবিদ্যালয় , বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং জেলা শহর শাখা , উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হল শাখা ও উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে।

চ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন , চট্টগ্রাম মহানগর , খুলনা মহানগর , রাজশাহী মহানগর , বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন , চট্টগ্রাম জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) , কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলা অন্তর্গত উপজেলা ও কলেজ শাখার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা শাখার সকল কর্মকর্তা মহানগর ও জেলা সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্ত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক উপজেলা বা উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত ইউনিটের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট দিবেন।

ছ) ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক কলেজ ইউনিট। নিম্মোক্ত কলেজ সমূহ নবগঠিত ইউনিটের সদস্য ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেঃ ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী তিতুমির কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ, কবি নজরুল সরকারী কলেজ, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারী বদরুন্নেসা কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ও আবু জর গিফারি কলেজ।
উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের ঐতিহ্য, শিক্ষার্থী সংখ্যা, সাংগঠনিক গুরুত্ব এবং কেন্দ্রীয় সংসদের নিয়িমতি কার্যক্রমকে আর বেশি শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে কলেজ সমূহকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সরাসরি সাংগঠনিক আওতায় আনা হয়েছে। উক্ত সাংগঠনিক ইউনিটটি জেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ২৫ জন কাউন্সিলর প্রেরন করবেন যা কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক পূর্বানহে অনুমোদিত হবে।

জ) ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখাএর অন্তর্গত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ( উপজেলার শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত) সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কমিটির সকল সদস্য বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজের (থানা মর্যাদার) ২৫ জন কউন্সিলর ভোট দিবেন।
ঝ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত ঢাকা মহানগর এলাকার সকল আইন কলেজের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা শাখার সকল সদস্য ঢাকা আইন জেলা শাখার সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন।

ঞ) জেলা সম্মেলনে ১(এক) জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হবেন।

ট) বৈদেশিক শাখাঃ প্রবাসে যেকোনো দেশে শিক্ষারত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা (নুন্যতম ৪১ জন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য পদ গ্রহন করলে সে দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে পারবেন। এ কমিটির মর্যাদার ব্যপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য সংখ্যা, পরিবেশ , প্রবাসীদের প্রয়োজনতার দিকে লক্ষ্য করে বিশেষ বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরবর্তী সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এই কমিটির সদস্য সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারবেন

১১। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদঃ

ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ২৫১ সদস্য সমন্বয়ে নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৪১(একচল্লিশ) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ১০(দশ) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১০(দশ) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, অর্থ সম্পাদক ১(এক) জন, আইন সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাহিত্য সম্পাদক ১(এক) জন, গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ১(এক) জন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ১(এক) জন, আপ্যায়ন সম্পাদক ১(এক) জন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক ১(এক) জন, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক ১(এক) জন, কৃষি শিক্ষা সম্পাদক ১(এক) জন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ১(এক) জন, সহ-সম্পাদক ২৫(পঁচিশ) জন, বাকি ১৩৩ জনের মধ্য থেকে সাংগঠনিক প্রয়োজন অনুসারে বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ও সদস্য নির্বাচিত হবেন

খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল ২ বছর। উপরিক্ত সময়ের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে।

গ) বিশেষ বা জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কমিটির কার্যকাল ৩ মাস বৃদ্ধি করা যাবে। উক্ত সভায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ যোগ দিবেন।

ঘ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

ঙ) অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহন করবেন। তবে অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্দেশিত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সমূহও বাস্তবায়ন করবেন।

চ) বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ জরুরু ভিক্তিকে ৭ দিন ও সাধারন ভাবে ১৫ দিনের নোটিশে নির্বাহী সংসদের বর্ধিত সভা ডাকতে পারবেন।

দ্বিতীয় ভাগ (১২-২৫)
কার্যক্রম

১২। কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ

কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলী গঠিত হয়। তারা নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষণা মোতাবেক আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন, বাজেট অধিবেশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত সমূহ কার্যকর করার পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর।
কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ স্ব স্ব সম্পাদকীয় কর্ম পরিকল্পনা বার্ষিক ভিক্তিতে সাধারন সম্পাদকের নিকট জমা দিবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উত্থাপিত হলে কর্ম পরিকল্পনার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করবেন এবং অনুমোদিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
বিশেষ জরুরী অবস্থায় সাধারন সম্পাদক ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সংগঠনের সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন।কিন্তু নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় উক্ত বিষয় সমূহ অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করতে হবে।

কর্মকর্তাদের কার্যাবলী ও ক্ষমতা

সভাপতিঃ
তিনি সংগঠনের সর্ব প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে গন্য হবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল অধিবেশনে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং আবশ্যকবোধে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা ব্যাখ্যা করে রুলিং দিতে পারবেন ও যে কোন ধারার ব্যাখ্যা সম্পর্কে কাউন্সিলর ও নির্বাহী সংসদের মতামত নিতে পারবেন। গঠনতান্ত্রিক সঙ্কট দেখা দিলে সভাপতি নির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতি যদি স্বয়ং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কাজ করেন , তবে নির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্র রক্ষার ব্যপারে সভাপতিকে বাধ্য করবেন। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যেতিরেকে কোন প্রস্তাবই বিবেচিত হবেনা। তবে গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় দেখা না দিলে তিনি নির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সভা সমিতিতে অধিকাংশ সদস্যের মতামতের উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। সমতা দেখা দিলে সভাপতি casting vote প্রধান করতে পারবেন। কেবলমাত্র সভা সমিতির নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার জন্য সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের মনোভাব একান্ত বিবেচনার পর তিনি ইচ্ছা করলে বিশেষ ক্ষমতাবলী প্রয়োগ করতে পারবেন।

সহ-সভাপতিঃ
সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে যে কোন একজন সহ সভাপতি সভাপতির পদমর্যাদা ও ক্ষমতা ব্যবহার করবেন এবং কার্যকরী সভাপতি বলে গন্য হবেন।সাধারনভাবে সহ সভাপতিগণ সাধারন কার্যবিধি পরিচালনায় সহায়তা করবেন।

সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান কর্মসচিব বলে পরিগণিত হবেন। তিনি বিভাগীয় সম্পাদকগণকে তাদের বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য উপদেশ ও নির্দেশ দিবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিভিন্ন নির্দেশ যাতে বিভিন্ন বিভাগের মারফত কার্যকারী হয় তার বিধি ব্যবস্থা করবেন। সাধারন সম্পাদক বিভাগীয় সম্পাদকের স্ব স্ব বিভাগের বরাদ্দকৃত খরচে অনুমোদন স্বাক্ষর ডান করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন।
সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সাথে আলোচনা করে বাজেট পেশ করবেন।সভাপতির সাথে পরামর্শ করে অন্তত মাসে একবার তিনি কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভা আহ্বান করবনে, বিষয়সূচি নির্ধারণ করবেন এবং আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। বিভিন্ন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত প্রচারপত্র,বিবৃতি ইত্যাদিতে সভাপতির সাথে যুক্তভাবে স্বাক্ষর ডান করবেন। প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন করবেন এবং অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের কর্ম পরিকল্পনাঃ
সাধারন সম্পাদক সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের স্ব স্ব বার্ষিক সম্পাদকীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করবেনএবং সংশ্লিষ্ট সম্পাদক এবং ক্ষেত্র বিশেষে উক্ত বিষয়ে গঠিত উপকমিটির সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী সংসদের সভায় উপস্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকঃ
সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন একজন যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদকের পদ মর্যাদা ও ক্ষমতা গ্রহন করবেন এবং তিনি কার্যকরী সাধারন সম্পাদক হিসেবে গন্য হবেন। সাধারনভাবে যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকগন সাধারন সম্পাদকের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করবেন।

সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে বেবস্থা গ্রহন ও অনুরূপ কার্যাদি সম্পাদন করা সাংগঠনিক সম্পাদকগণের দায়িত্ব। স্ব স্ব আওতাভুক্ত সাংগঠনিক এলাকার সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে সাংগঠনিক সম্পাদকগণ দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রচার সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ উদ্দেশ্য সমূহ সংবাদপত্র, পুস্তিকা, প্রচারপত্র, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রভৃতির মাধ্যমে প্রচার করাই প্রচার সম্পাদকের কাজ।

দপ্তর সম্পাদকঃ
দপ্তর সম্পাদক সভার কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষা করবেন এবং দপ্তর সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করবেন। সংগঠনের ই-মেইল একাউন্ট এবং ওয়েবসাইট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ সম্বলিত পোস্টার, পুস্তিকা, পত্রিকা, বুলেটিন গ্রন্থনা ও প্রকাশনা এই সম্পাদকের দায়িত্বে। সম্পাদকীয় কর্ম পরিকল্পনা বার্ষিক ভিক্তিতে সাধারন সম্পাদকের নিকত জমা দিবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উত্থাপিত হলে কর্মপরিকল্পনার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করবেন এবং অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকঃ
শিক্ষামূলক সমস্থ বিষয় পর্যালোচনা করা, ছাত্রলীগের পক্ষ হতে আলোচনা করা, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, শিক্ষামূলক তথ্যাদির প্রদর্শনী, পাঠচক্র আয়োজন, প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা, বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও শিক্ষা সফরের উদ্যোগ ইত্যাদি গ্রহন করবেন।

সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মুল আদর্শের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে বাঙ্গালীর জাতীয় সংস্কৃতিকে পরিস্ফুটন করে তোলা এবং সংগঠনের একটি নিজস্ব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও বিস্তৃতি সাধন করা সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব।

সমাজসেবা সম্পাদকঃ
সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্য সম্পাদনা করাই সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্ব। দায়িত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহন করবেন( রক্তদান, বস্ত্র ও বই বিতরন ইত্যাদি)

ক্রীড়া সম্পাদকঃ
ছাত্রলীগের সদস্যদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভিক্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক অন্যান্য দেশের ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেসভাবে প্রয়াসি হবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রামের ক্ষেত্রে সংহতি সূচক ভূমিকা পালন করবেন। বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিট গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন।

পাঠাগার সম্পাদকঃ
পাঠাগার সম্পাদক সংগঠনের কর্মীদের চিন্তা চেতনার বিকাশ সাধনের জন্যে বই পত্র সংগ্রহ করবেন এবং বই পড়া কার্যক্রম তদারক করবেন।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকঃ
শিক্ষা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলীর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদককে সহায়তা করবেন।প্রতিটি বিষয়ে ফাইল সংরক্ষণ করবেন।

অর্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবপত্র ও অন্যান্য আর্থিক ব্যাপারে তিনি দায়ী। তাকে তার কার্যকাল শেষ হলে সম্মেলনে মোট আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নির্বাহ করবেন। আয়-ব্যয় সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ব্যাংকে ১ টি একাউন্ট থাকবে। এই একাউন্ট অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক যৌথভাবে পরিচালনা করবেন।

আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ
ছাত্রলীগের যে সকল সদস্য রাজনৈতিক কারনে কারারুদ্ধ, হুলিয়া প্রাপ্ত বা মামলার সম্মুখীন হবেন তাদের আইনগত সহায়তা সমন্বয় সাধন এবং এ সকল মামলার নতিপত্র সংরক্ষণ করা এ সম্পাদকের দায়িত্ব। যুদ্দাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ সংরক্ষণ ও বিচারের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত বিশয়াদির প্রচার ও জনমত গঠনের ব্যবস্থা গ্রহন অন্যতম সম্পাদকীয় দায়িত্ব রুপে গন্য হবে।

পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রী ও জনগণকে সচেতন করে তোলা ও ছত্রলিগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সহ পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিচালনা করা এই সম্পাদকের দায়িত্ব।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকঃ
স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করে জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্র ছাত্রীদের ছাত্রলীগের প্রতি আকৃষ্ট করা ও স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এ সম্পাদকের দায়িত্ব।

বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদকঃ
বিজ্ঞান শিক্কখা ও চেতনার প্রসার, বিজ্ঞান বিষয়ক সভা সেমিনার আয়োজন, গবেশনার উদ্যোগ গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব রুপে গন্য হবে।

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, সিম্পজিয়াম আয়োজন, বিভিন্ন প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহন সহ সগথনের সদস্যদের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সর্বসাম্প্রতিক বিষয়াবলীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেবন। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে কম্পিউটার লিটারেসিবৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ
ধর্ম বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত সাংগঠনিক যোগাযোগ গড়ে তুলবেন। ধর্ম বিষয়ক আলোচনা, সেমিনার ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করবেন।

গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে গনশিক্ষা ও গনসাক্ষরতা বিষয়ক কর্মসূচি গ্রহন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।

ত্রান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য দুর্যোগ ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ে ছাত্রলীগের সদস্যদের যথাযথ সচেতনতা, প্রশিক্ষন ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষন শিবির, কর্মশালা প্রভৃতির আয়োজন করবেন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন, উপকূলীয় এলাকাসমূহে বিশেষ করে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সেল গথনে ভূমিকা রাখবেন।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদকঃ
সবার জন্য স্বাস্থ্যএই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্র সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুশের সাথে স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন, মানুশের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মী আহত বা অসুস্থ হলে তার চিকিতসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজসমূহে সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে ছাত্র সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

গণযোগাযোগ সম্পাদকঃ
গণযোগাযোগ সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহন গণযোগাযোগ সম্পাদকের দায়িত্ব।

সাহিত্য সম্পাদকঃ
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সাহিত্য জ্ঞান বৃদ্ধি চর্চা বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করবেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠনের কার্যক্রম সমূহের বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।

নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদকঃ
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন, বিতর্ক বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিজগিতায় অংশগ্রহন, নাটক ও নাট্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় কর্ম পরিকল্পনা
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদকের দায়িত্ব। অনুমোদিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদকঃ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আইন ও বিধি বিধান সাপেক্ষে সংগঠনের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও চল্মান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার ও জনমত গঠনের যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

আপ্যায়ন সম্পাদকঃ
সংগঠনের যাবতীয় কর্মসূচি ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে আপ্যায়ন ও প্রাসঙ্গিক বিশয়াধি সম্পাদন করা আপ্যায়ন সম্পাদকের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দৈনন্দিন আপ্যায়ন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের পরিচালনা উক্ত সম্পাদকের আওতাভুক্ত হবে।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদকঃ
বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষয়ক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও গবেষকের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।তরুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সঠিক ইতিহাস, তথ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাস চেতনার বিস্তারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।

মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদকঃ
দক্ষ ও আলোকিত আগামী দিনের নাগরিক তৈরিতে সংগঠনের ভূমিকা সংবলিত বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে গন্য হবে।

ছাত্রবৃত্তি সম্পাদকঃ
শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিক্তিক বৃত্তি কার্যক্রম ও প্রযোজ্য অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাত্রবৃত্তি সম্প্রসারনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্ব হিসেবে গন্য হবে।

কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
কৃষি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কিংবা এককভাবে কর্মসূচি পালন ও পরিকল্পনা গ্রহন সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান দায়িত্বরুপে গন্য হবে।

কর্মসূচি পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকঃ
সংগঠনের সাধারন কর্মসূচি, সাংগঠনিক ক্যালেন্ডার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রধান সম্পাদকীয় দায়িত্বরুপে গন্য হবে।

জবাবদিহিতাঃ
ম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ প্রতি ২ মাসে অন্তত একবার তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু সম্পাদন করেছেন তা লিখিত ও মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট পেশ করবেন এবং তাদের পরবর্তী কারজক্রমের পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন।

উপ-সম্পাদকঃ
বিভাগীয় উপ-সম্পাদক গণ স্ব স্ব বিভাগের সম্পাদককে বিভাগীয় কার্য পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন এবং সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

সহ সম্পাদকঃ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সদস্যঃ
সদস্যগণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

১৩। কাউন্সিল অধিবেশনঃ

ক) বৎসরে একবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেশন বসে। তবে ২১ দিনের নোটিশে প্রয়োজনবোধে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা যায়। নির্বাহী সংসদ কাউন্সিল অধিবেশন সফল করার জন্য একটি প্রস্তুতি কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করতে পারে।

খ) কাউন্সিলের প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য ও প্রতিটি জেলা থেকে নির্বাচিত ২৫ কাউন্সিলর কাউন্সিলের প্রতিনিধি বলে গন্য হবে।

১৪। কেন্দ্রীয় কমিটিঃ

ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মোট ২৫১ জন সদস্য, প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা কর্তৃক মনোনীত ১ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক মনোনীত ১০১ জন সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে।

খ) দুই কাউন্সিলরের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সাংগঠনিক অচলাবস্থা অথবা কোন রাজনৈতিক বক্তব্যে জটিলতা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

১৫। সভা সমিতির বিধানঃ

ক) জরুরী অবস্থায় অন্তত ৭ দিন এবং সাধারন অবস্থায় অন্তত ৩০ দিনের নোটিশে কাউন্সিলরদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক পঞ্চমাংশ ও সাধারন অবস্থায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।

খ) জরুরী অবস্থায় অন্তত ৭ দিন এবং সাধারন অবস্থায় অন্তত ১৫ দিনের নোটিশে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হবে। এই সভায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।

গ) জরুরী অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা এবং সাধারন অবস্থায় ৭ দিনের নোটিশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা হবে। জরুরী অবস্থায় এক চতুর্থাংশ ও সাধারন অবস্থায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা জরুরী অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা এবং সাধারন অবস্থায় ৭ দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক চতুর্থাংশ ও সাধারন অবস্থায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।

ঘ) রিকুইজিশন সভাঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদসহ যে কোন ইউনিটের এক তৃতীয়াংশ কাউন্সিল সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত রিকুইজিশন পত্র দেড় মাসের মধ্যে স্ব স্ব সভাপতির মারফত সাধারন সম্পাদকের নিকট পেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারন সম্পাদক যদি সভা আহ্বান না করেন তাহলে এই রিকুইজিশন পত্র সভার আমন্ত্রনলিপি হিসেবে গন্য হবে এবং এই সভা সম্পূর্ণ বৈধ। অনুরূপভাবে নির্বাহী সংসদের সভা ও আহ্বান কোরা যাবে। তবে রিকুইজিশন সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠান কোরা যাবেনা।

ঙ) প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা বসবে। অন্যান্য সমস্ত নিম্মতম শাখাগুলিতে প্রতি মাসে অন্তত একবার নির্বাহী সংসদের সভা বসবে।

১৬। উপ-কমিটিঃ

কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রয়োজনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুবিধার্থে প্রতি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা উপকমিটি গঠন করবে। সহ সভাপতিগণ এই উপকিমিটি গুলার চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। অব্যাখ্যাত বিষয়ে উপকিমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাহী সংসদ সিদ্ধান্ত নিবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট উপ কমিটি গঠিত হবে। তবে উপকমিটির সঙ্গে নির্বাহী সংসদের কোন বিরোধ দেখে দিলে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।

১৭। নিয়ম ও শৃঙ্খলাঃ

ক) ছাত্রলীগের কোন শাখা কমিটিরই এর সদস্য বিশেষকে প্রতিষ্ঠান হতে বহিস্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে পরামর্শ অধিক ক্ষমতা নেই। বহিস্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

খ) তবে ছাত্রলীগের যে কোন শখা উপযুক্ত কারন দর্শীয়ে কোন অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।

গ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করে প্রয়োজনে আর কঠোর শাস্তি অথবা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করবেন।

১৮। অন্যান্য সংস্থার সাথে সম্পর্কঃ

ক) ছাত্রলীগের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের অনুপন্থী কোন নির্দিষ্ট কর্মসূচির উপর প্রয়োজনবোধে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে ছাত্রলীগ কাজ করতে পারবে।

) ছাত্রলীগের কোন সদস্য এককভাবে অন্য কোন ছাত্র বা রাজনৈতিক সংগঠনের সভ্য হতে পারবেনা । ছাত্রলীগ সংগঠনের সামান্যতম ক্ষতির আশংকা থাকলে ছাত্রলীগের কোন সভ্য বিশেষ করে কোন কর্মকর্তা অন্য সংস্থার সভ্য হতে পারবেনা।

১৯। নির্বাচন কমিশনঃ

ক) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এক জন চেয়ারম্যান ও দুই জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন। কমিশনের সকলই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য।

খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নির্দিষ্ট এক বৎসর কালের মধ্যে অথবা কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বর্ধিত ৩ মাস সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করতে ব্যর্থ হলে, নির্বাহী সংসদীর নিকট হতে সময়মত দায়িত্ব ও সম্পদ বুঝে নেয়া নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য।

গ) দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত ( জেলা সম্মেলন কর্তৃক) কাউন্সিলরদের সভা ডেকে নতুন কর্মকর্তা নির্বাচন করে তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করতে বাধ্য হবে। নতুবা উক্ত সময়ের পরে নির্বাচন কমিশন আপনা আপনি বিলুপ্ত বলে গন্য হবে।

ঘ) এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের জন্য মোট কাউন্সিলরের এক- চতুর্থাংশের উপস্থিতিতে নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠন করার ক্ষমতা ছাত্রলীগের নিয়মিত সদস্যগন রাখেন।

২০। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা নির্বাচনঃ

ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা, সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য, প্রতিটি জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগন বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা থেকে প্রেরিত ২৫ জন কাউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন।

খ) বিষয় নির্ধারণ কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরবর্তী ২ বছরের জন্য সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করবেন।

২১। জেলা শাখা ও অন্যান্য শাখা সমূহের নির্বাচনঃ

ক) প্রতি বৎসর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বে জেলা শাখা সমূহের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিশেষ অবস্থার জন্য উক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই সমাপ্ত করেত হবে। অন্যথায় সেই জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গন্য হবে। জেলা শাখার সকল কর্মকর্তা , জেলার আওতাধীন প্রতিটি সরকারি কলেজ ও থানা শাখার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক জেলার বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য।

খ) প্রতি বৎসর জেলা শাখার নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই জেলার অন্তর্ভুক্ত থানা শাখার নির্বাচন করতে হবে। থানা শাখার নির্বাচনের পূর্বে প্রাথমিক শাখার নির্বাচন সমাপ্ত করতে হবে।

২২। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ 

ক) সাধারনত দুই তৃতীয়াংশের অধিক কাউন্সিল সদস্য কর্তৃক সমর্থিত না হলে গঠনতন্ত্রের রোদ বদল অবৈধ।

খ) এই গঠনতন্ত্র বা এর ধারা উপধারার অমান্যকারীর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

গ) এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা , উপধারা , বাক্য বা শব্দ বিশেষের অর্থ নিয়ে কোন প্রকার মতো বিরোধ দেখা দিলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এর ব্যাখ্যা নির্ণয় করবেন। চূড়ান্ত মতানৈক্য দেখা দিলে বিশেষ নোটিশে আহূত যে কোন কাউন্সিল সভা ভোটাধিকার দ্বারা গঠনতন্ত্রের অংশবিশেষ রদবদল করতে পারবে।

২৩। বিবিধঃ

ক) কোন সদস্য বিয়ে করলে অথবা সভাপতি, সাধারন সম্পাদক উভয় পদে মোট দু-বার বহাল থাকলে অথবা দুই বার সভাপতি দুই বার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবার অধিকার হারিয়ে ফেলবেন। ১ বছরের অধিক সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী আহ্বায়ক, যুগ্ন-আহ্বায়ক ও এডহক কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগণের মেয়াদ এক্ষেত্রে গন্য হবে

খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্য মাসিক ২০ টাকা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্য মাসিক ১৫ টাকা ,জেলা কমিটির প্রত্যেক সদস্য মাসিক ১০ টাকা ও নিম্মতম কমিটির সদস্য মাসিক ৫ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকচাঁদা প্রদান করবেন। কোন সদস্য পর পর ৩ মাস চাঁদা বাকি রাখলে সেই সদস্য সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কমিটি ব্যবস্থাগ্রহন করবে।

গ) কেন্দ্রীয়, জেলা বা নিম্মতম কোন কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট কমিটির নিয়মিত সভার পূর্বাহ্ণে কারন দর্শানো ছাড়া একাদিকক্রমে ৩ বার অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে।
গঠনতন্ত্রের উল্লিখিত ধারা সমূহ ব্যতিরেকে সর্বপ্রকার ঊর্ধ্বতন বা নিম্মতম বা অভ্যন্তরীণ পরিচালনায় বিরোধ ও অন্যান্য জটিলতা মীমাংসার কর্তৃত্ব কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের। তবে কোন জটিল ব্যপারে নির্বাহী সংসদের সুনির্দিষ্ট মতামতের অভাব হলে বা অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে তা কেন্দ্রীয় কমিটির অধিবেশনে উত্থাপন করতে হবে।

ঘ) একমাত্র গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা ছাড়া সাংগঠনিক কার্যে অন্যান্য শাখা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে অনুসরণ করবে।

২৪। কাউন্সিলরদের দায়িত্বঃ

ক) ছাত্রলিগের স্বার্থে , প্রার্থীদের উপযুক্ততা ও স্ব স্ব এলাকার ছাত্রলীগ সদস্যদের মনোভাবের ভিক্তিতে তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা নিযুক্ত করবেন।

খ) কাউন্সিলরদের হাতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মৌলিক নেতৃত্ব ন্যস্ত। তারাই ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারণ করবেন।

২৫। তহবিলঃ

ক) যথাযোগ্য রশিদ ব্যতিরেকে কেউ ছাত্রলীগের তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন না।

খ) চাঁদা, এককালীন অনুদান, সদস্যদের চাঁদা, ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন পুস্তকাদির বিক্রয়লব্ধ অর্থ ইত্যাদি ছাত্রলীগ তহবিল সংগ্রহের উপায়। নির্ধারিত রশিদে ছাত্রলীগের প্রত্যেক শাখারই অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতা আছে। কিন্তু অর্থসংক্রান্ত যে কোনো প্রমানিত অভিযোগের একমাত্র শাস্তি ছাত্রলীগ হতে বহিষ্কার।

গ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে কারারুদ্ধ হলে, সাজাপ্রাপ্ত হলে, শহীদ হলে, আহত হলে তার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য তহবিল গঠন করবেন এবং তার জন্য বা তার পরিবারের জন্য ঐ তহবিল থেকে সাহায্য করবেন।

ধন্যবাদান্তেঃ CP (Crack Platun) গ্যাং, যাদের সার্বিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা ছাড়া আমার পক্ষে এই গঠনতন্ত্রটি লেখা অনেকটা অসম্ভব ছিল...
[ বি.দ্র; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ (০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২) এর অবলম্বনে লিখিত। যদি কোন বানান ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্ধর দৃষ্টিতে দেখবেন কারন তাহা অনিচ্ছাকৃত।]
শিক্ষা শান্তি প্রগতির নামে মোরা মুজিবের সৈনিক
কাপিয়ে তুলবো সারা চরাচর মোরা কাপাবো দিগ্বিদিক
ছাত্রলীগ জয় জয় ছাত্রলীগ

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু

realme Buds Free Earphone